মাদারীপুরে ১৮০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেলেন ১৬ জন
কোনো ধরনের তদবির বা ঘুষ ছাড়াই মেধা ও শারীরিক যোগ্যতার ভিত্তিতে মাত্র ১৮০ টাকার বিনিময়ে মাদারীপুরে ১৬ জন চাকরিপ্রার্থী পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন। রোববার (৩১ আগস্ট) মৌখিক পরীক্ষা শেষে সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার নাঈমুল হাছান নবনিযুক্ত এই পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
কোন ধরনের তদবির ও ঘুষ ছাড়া কেবল মাত্র শারীরিক ও মেধার যোগ্যতা ভিত্তিতে ১৮০ টাকার বিনিময়ে মাদারীপুরে ১৬ জন চাকরি প্রার্থী পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন। রোববার (৩১ আগস্ট ) মৌখিক পরীক্ষা শেষে সন্ধ্যায় পুলিশে নবাগত পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন পুলিশ সুপার নাঈমুল হাছান।
মাদারীপুর পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে আয়োজিত এ ‘ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি)/কনস্টেবল’ পদে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৩৩০জন পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে ভাইবায় উত্তীর্ণ হন ১৯ জন।পরে যাচাই-বাছাই তাদের মধ্যে থেকে ১৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। আপেক্ষামান রয়েছেন ৩ জন। উত্তীর্ণদের ১৬ জনই দিনমজুর ও অটো চালক বলে জানা যায়।
ফলাফল ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাঈমুল হাসান। এসময় গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) আমিনুল ইসলাম ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (ডিবি) জাহিদুল ইসলামসহ মাদারীপুর জেলার পুলিশের সকল কর্মকর্তাগণ।
নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের অভিনন্দন ও তাদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে ব্রিফিং সভায় পুলিশ সুপার নাঈমুল হাছান বলেন, শারীরিক ও মেধার যোগ্যতার ভিত্তিতে আপনারা সকলে আজ এই জায়গায় এসেছেন। আপনারা সততা ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবেন। এতে গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এ সময় প্রতিক্রিয়া জানাতে কয়েকজন নবাগত পুলিশ সদস্য আনন্দে আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন।
উল্লেখ্য, মাদারীপুরে ৩৩০টি পুলিশ কনস্টেবল পদের বিপরীতে সাড়ে ৩ শতাধিক আবেদন জমা পড়ে বলে জানিয়েছেন নিয়োগ কমিটির সদস্যরা।