কিশোরগঞ্জ

লাল মরিচের ঝাঁঝে কৃষকের খুঁশি

মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে চলতি মৌসুমে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকের খেত আর আঙিনা জুড়ে এখন শুধু মরিচ আর মরিচ। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এ বছর উপজেলায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। 

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১৮০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার সিদলা ও জিনারী  ইউনিয়নের সাহেবের চর ও চরকাটি হারী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ সবুজ খেত। তার ভেতর উঁকি দিচ্ছে লাল-সবুজ-কালচে মরিচ। কিষান-কিষানি বেছে বেছে লাল টুকটুকে পাকা মরিচ তুলছেন। মরিচের সেই লাল আভা ছড়িয়ে পড়ছে কৃষকের চোখে-মুখে।

উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদে বছরের পর বছর ধরে মরিচ চাষ হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে জেগে ওঠা চরে চাষ হয় এ ফসলের। এ মরিচ বিক্রির টাকায় অনেক কৃষকের সারা বছরের সংসারের খরচ জোগাড় হয়ে যায়।

চরকাটি হারী এলাকার মরিচ চাষি বাছেদ  মিয়া( ৩৮) বলেন, ভালো দাম পাচ্চি  শুকনা মরিচ ৪ হাজার টেকা মণ দরে বেচ্চি। বেশি দামে কিনতে হয়েছে সার ও কীটনাশক। শ্রমিকের মজুরি দ্বিগুণ হয়েছে। সব মিলিয়ে এক একর জমিতে মরিচ চাষে খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে এক একর জমিতে মরিচ উৎপাদিত হয়েছে ৩০০ কেজি, যা বিক্রি করে ৭২০০০হাজার টাকা পাওয়া গেছে। বাকি মরিচ বিক্রি করলে অধিক  লাভের মুখ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এস এম শাহজাহান কবির জানান,  চাষিরা গত এক মাস ধরে নতুন মরিচ তুলতে শুরু করেছেন। প্রতি একর জমিতে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ কেজি পর্যন্ত মরিচ উৎপাদিত হয়েছে, যা আগে কখনো হয়নি। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker