
মাহফুজ হাসান, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
নার্সারি করে আর্থিকভাবে সফল হয়েছেন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মোঃ মহররম আলী। তার নার্সারিতে রয়েছে প্রায় ৪৫ প্রজাতির ফলের গাছ। বর্তমানে নার্সারী থেকে তার বার্ষিক আয় হচ্ছে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মতো। মহরমের এই নার্সারি দেখে হোসেনপুরে আশেপাশে বিভিন্ন পাড়াসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামে অর্ধশতাধিক নার্সারি গড়ে উঠেছে।
জানা যায়, বগুড়ায় চিল্লায় গিয়ে নার্সারি দেখে মনের মাঝে শখ জাগে উনার বাড়িতে একটি নার্সারি করবেন। চিল্লা থেকে ফিরে হোসেনপুর মহিলা কলেজের পিছনে ৪০ শতক জায়গার উপর ফলজ,বনজ,ঔষধি গাছ রোপণ শুরু করেন। নাম দিয়েছেন ‘সবুজ বাংলা মুয়াজ ‘নার্সারি। এ নার্সারীতে জলপাই, লিচু, বরই, কাঁঠাল, আম, পেয়ারা, লেবু, জাম, আখ, মরিচ, বিভিন্ন জাতের ফুল ও ওষধি গাছ পাথরকুচি, তুলসি চারা উৎপাদন শুরু করেন। এসব চারা বিক্রি করে তার মাসিক আয় হচ্ছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মতো।
কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, গফরগাঁও, পাকুন্দিয়া, ভৈরব, নান্দাইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসে তার নার্সারী থেকে কলম জাতের গাছের চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এখন তার বার্ষিক আয় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা।
তিনি জানান, তার এই জমির নার্সারীতে মাসিক ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। সে হিসেবে ব্যয় বাদে তার মাসিক আয় থাকছে ৫০ হাজার টাকা।
নার্সারি ব্যবসায়ী মহররম আলী জানান, ব্যবসা করে লাভবান হওয়াই বড় কথা নয়। তিনি নার্সারী ব্যবসায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যই এটা শুরু করেছেন। কেউ যদি নার্সারি করতে চায় তাহলে তিনি সবধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করবেন। তিনি তার নার্সারীকে দেশের মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চান।
পাশাপাশি এ উপজেলায় কমপক্ষে শতাধিক নার্সারী তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। এ জন্য দিনরাত খেটে যাচ্ছেন তিনি। এখানে প্রতিদিন ৮-৯ জন শ্রমিক কর্মে নিয়োজিত থাকেন। শ্রমিকরাও নার্সারিতে কাজ করে ভালোভাবে দিনাতিপাত করতে পারছেন।
হোসেনপুর উপজেলার কৃষি উপ-সহকারী জাহিদ হাসান রণি জানান, বর্তমানে বৃক্ষরোপণে মানুষের আগ্রহ বাড়ায় নার্সারিতে চারা উৎপাদন ও ফলজ বাগান করে লাভবান হচ্ছে অনেকেই। ফলে নার্সারিতে এলাকার কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। আমরা তাদের জৈব সার উৎপাদন, বালাইনাশক ও ফল উৎপাদনের যাবতীয় প্রযুক্তিগত সহযোগীতা করে থাকি।