মাহফুজ রাজা,কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে চাঙ্গা হয়ে উঠছে পাটকাঠির বাজার । পাট কাঠির বাজারে ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম বাড়ছে। প্রতি হাটেই শত মণ পাটকাঠি ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে।
উপজেলার কয়েকটি এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা পাট ও পাটকাঠি শুকিয়ে ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত। তারা এখন পাটকাঠি বেশ যত্নের সঙ্গে মজুত করে রাখছেন। উপজেলার হোসেনপুরের হাটে প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার দূর-দূরান্ত থেকে প্রচুর পাট কাঠি নিয়ে আসে বিক্রেতারা। ক্রেতার সমাগম ঘটে প্রচুর।
উপজেলার পাট চাষিরা জানান, দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসে পাটকাঠি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ভালো দাম দিচ্ছেন। একশ আঁটি পাটকাঠি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায়। এটি এক সময় ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হতো।
তারা আরও জানান, পাট আবাদের খরচ পাট বিক্রি করে উঠে আসে। আর, পাটকাঠি তাদের লাভের মুখ দেখিয়েছে।
উপজেলার চরকাটি হারীএলাকার কৃষক নজরুল বলেন, ‘রান্নার জ্বালানি, ঘরের বেড়া, পানের বরজের ছাউনি ছাড়া পাটকাঠি আর কোনো কাজে লাগত না। কিন্তু, এখন পাটকাঠি বিক্রি করতে পারছি। শুনেছি এটি ছাই করে বিদেশে পাঠায়।’
হোসেনপুর উপসহকারী জাহিদ হাসান রনি বলেন, ‘মূলত গত এক দশক ধরেই এই জ্বালানির বাজার বাড়ছে। শুধু তাই নয়, দেশে উদীয়মান রপ্তানি পণ্য হিসেবে শিল্পের মর্যাদাও পাচ্ছে পাটকাঠির ছাই।
অনেকেই পাটকাঠি কেনাবেচাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো গবেষণা ও কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পাটকাঠি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে রপ্তানির নতুন বাজার তৈরি করতে পারে। পাঠকাঠির ব্যবহারে ঘুরে দাঁড়াতে পারে দেশের পাটশিল্প