কিশোরগঞ্জ

খেয়া নৌকায় আগের মত জৌলুশ নেই

মাহফুজ রাজা,কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:

নিরীহ প্রকৃতির মানুষ সজল মাঝি।কোমল স্বভাবের কারণে সবার কাছে তিনি পছন্দের মানুষ ।ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার গলাকাটা খেয়াঘাটে প্রায় ২ যুগ ধরে খেয়া পারাপার করেন ৪০ বছর বয়সী সজল মাঝি। উপজেলার নাককাটা চর গ্রামে সজল মাঝির বাড়ি। প্রতিদিন ব্রহ্মপুত্র নদে গলাকাটা  খেয়াঘাটে নৌকা চালান তিনি।প্রতিবেশী কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার  কর্মজীবী মানুষ, ব্যবসায়ী আর শিক্ষার্থীরা খেয়ানৌকায় পার হন।

শনিবার খেয়া ঘাটে গিয়ে দেখা গেল, খেয়া পার হয় কয়েকটি গ্রামের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা শাখচূড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে যান,ব্যবসা কিম্বা  মালামাল ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দ্যেশ্যে গলাকাটা বাজার অথবা গফরগাঁও যান।আবার বিদ্যালয় ছুটির পর এবং কাজ শেষে কর্মজীবী মানুষেরা বাড়ি ফেরেন।

উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলে দূরগামী মানুষেরা এদিক দিয়ে আগের মত আসেনা,একটা সময় এ ঘাটে ১০/১৫ টা নৌকা থাকতো এখন সজল একাই যথেষ্ট। 

পশ্চিমে গফরগাঁও ব্রিজ পূর্বদিকে খুরশিদ মহল ব্রিজ হওয়ায় ঢাকা কিম্বা ময়মনসিংহ গামী মানুষগুলি ঐদিক দিয়েই চলে যায়।

জানা যায়,এখন আর সারা দিন খেয়া পারাপার করেন না সজল মাঝি দুপুরের পর থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত থাকেন, সকাল থেকে অন্যএকজনকে দিয়ে পারাপার করান।সাহেবের চর,নাককাটার চর,চরকাটিহারীসহ বেশ কয়েকটা গ্রামের মানুষই কেবল বিশেষ প্রয়োজনে খেয়া তরীতে পার হয়।

সজল বলেন,আগে অনেক মাঝি ছিল যাত্রীও ছিলো এ পেশায় এখন আর সুখ নাই, তাই সবাই ছেড়ে দিচ্ছে।

আক্ষেপের সুরে সজল মাঝি বলেন, এখন সব জিনিসের দাম বাড়ছে। এই টাকা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই কৃষি কাজের ফাঁকে ফাঁকে নৌকা চালাই ঘাটের ইজারা নিছি তাই বাধ্য হয়ে এই পেশায় আছি। যা পাই তা দিয়ে কোনোরকমে চলছি।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker