মাহফুজ রাজা,কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আলোক ফাঁদ স্থাপনে আগ্রহ বেড়েছে স্থানীয় কৃষদের। এ উপজেলার অধিকাংশ এলাকার কৃষকরাই বর্তমানে এ পদ্ধতি ব্যবহার করে পোকার উপস্থিতি নিশ্চিত করছেন।
আলোক ফাঁদ এমন এক প্রযুক্তি, যার ব্যবহারে কীটনাশকের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পায়। পাশাপাশি অনিষ্টকারী পোকার উপস্থিতিও বোঝা যায়। এর খরচ খুবই কম। সহজে পোকা দমন করা যায়। পরিবেশ থাকে অনুকূলে। এতে চাষের উৎপাদন খরচ কমবে, সেই সঙ্গে কৃষক হবেন লাভবান।
সুত্রমতে,এ উপজেলায় ১৮ টির মতো কৃষি ব্লক রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সকল ব্লকের কৃষকদের আলোক ফাঁদ পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার জগদল ব্লকের বর্শিকুরা,ডাহরা,জগদল,বিলচাতল গ্রামের কৃষকরা আলোক ফাঁদ স্থাপন করেছেন।
উপজেলার ধূলজুরী গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, রাতে আমরা আলোর মাধ্যমে পোকামাকরের জন্য ফাঁদ পেতে রাখি। তখন অনেক পোকামাকড় এ ফাঁদে এসে ধরা দেয়। এতে আমরা সহজেই বুঝতে পারি জমিতে কীটনাশক দিতে হবে কিনা।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জনাব এ.কে.এম. শাহজাহান কবির জানান,পোকামাকড়ের বৈশিষ্ট্য হলো সন্ধ্যার দিকে আলোর কাছে ধাবিত হয়, সন্ধ্যায় জমির পাশে আলোক ফাঁদ স্থাপন করে উপকারী ও অপকারী পোকা শনাক্ত করা সম্ভব। সে অনুযায়ী কৃষকদের পরার্মশ প্রদান করা হয়েছে।