মাহফুজ হাসান,কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
প্রযুক্তির এক বিস্ময় সৃষ্টি মোবাইল ফোন। আধুনিক বিশ্বে মোবাইল ফোন আশির্বাদ স্বরুপ।মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খুব সহজে বিশ্বের যেকোনো দ্বারপ্রান্তে যোগাযোগ করা যায়। যোগাযোগ ছাড়াও এর মাধ্যমে আরো বিভিন্ন কাজ করা যাচ্ছে খুব সহজেই।একটি এন্ড্রয়েড ফোন হাতে থাকা মানে দুনিয়াটা হাতের মুঠোই।
কিন্ত বর্তমান সময়ে বেড়ে যাচ্ছে মোবাইল ফোনের অপব্যবহার,দেখা যায়,সড়ক দুর্ঘটনার অন্যান্য কারণগুলোর সঙ্গে যোগ হয়েছে চালকদের মোবাইল ফোনে কথা বলার প্রবণতা। ফোনে কথা বলতে বলতে যানবাহন চালানোর সময় তারা অন্যমনস্ক হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে। এর ফলে মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে ছোট্ট শিশুরা যে বয়সে বাবা মায়ের কাছে স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণ কিম্বা ছড়া শিখার কথা সেখানে তারা বাবা মায়ের হাতের মোবাইল ফোন নিয়ে শিবা,লুল্লু ভূত,রুদ্রা বা অন্যান্য কার্টুন নিয়ে ব্যস্ত।
শিশুরা মোবাইল ফোনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়াশোনা সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাজ থেকে দুরে সরে যাচ্ছে। কিশোর রা অতিরিক্ত আসক্তির কারণে পরিবার থেকেও দুরে সরে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।অন্যদিকে মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত অপব্যবহারের ফলে যুবকদের চরিত্র ও ধ্বংসের পথে। তাছাড়া মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের চরম ক্ষতি হচ্ছে
মানুষকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হতে প্রায় দেখা যায়। এমন কি বিপদজনকভাবে রেল লাইনের ওপর দিয়ে একইভাবে কথা বলতে দেখা যায় অনেককেই। এছাড়া অনেক সময় দেখা যায়, চালকরা ডান হাতে স্টিয়ারিং ধরে বাম হাতে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন। আর এভাবেই মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যায় দুর্ঘটনা।
মোবাইল ফোনের অপব্যবহার রাজনীতিতেও ফেলছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া, রাজপথ যেন মোবাইল ফোনের সোস্যাল পথ।
এমতাবস্থায় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করছেন,সংশ্লিষ্টদের উচিৎ বিভিন্ন প্রচারণা মূলক কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে জনগণকে মোবাইলের অপব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করা।আর অভিভাবকদের উচিত সজাগ দৃষ্টি রাখা। অন্যথায়, অচিরেই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজম্ম অন্ধকারে তলিয়ে যাবে।
