মাহফুজ হাসান, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পানিতে ডুবে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ শোক সইতে না পেরে তিনতলা বাসার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বোন।
সোমবার বিকেলে পানিতে ডুবে মারা যায় নীরব মোল্লা (১২)। এরপর রাত ৯টার দিকে ছাদ থেকে লাফ দিলে মৃত্যু হয় বড় বোন নাজা বেগমের (১৮)।
নীরব ও নাজা পৌর শহরের চণ্ডীবের মোল্লাবাড়ির বাছির মোল্লার সন্তান। বাছির মোল্লার তিন সন্তানের মধ্যে নাজা দ্বিতীয়, আর নীরব সবার ছোট। নীরব স্থানীয় ব্লু বার্ড কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।নাজমা( নাজা) স্থানীয় রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, নীরব স্কুল থেকে ফিরে বাড়ির পাশের একটি মাঠে ফুটবল খেলছিল। খেলা চলাকালীন মাঠের পাশে খালের পানিতে ফুটবল পড়ে যায়। সে খাল থেকে বল আনতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে তলিয়ে যায়। স্থানীয়রা ছুটে এসে নীরবকে উদ্ধার করে প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যায় পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক নীরবকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে হাসপাতালে ছুটে যান বড় বোন নাজা। কিছু সময় পর ভাইয়ের লাশের সঙ্গে নাজা বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসেই সবার অলক্ষ্যে ছাদ থেকে লাফিয়ে নিচে পড়েন নাজা। মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে। রাত ৯টার দিকে নাজা মারা যান।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বিষয়টা নিশ্চিত করে জানান,পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিশুর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। বড় বোনের মরদেহ বাড়িতে আনার পর আরও একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে।