সকাল থেকেই ঝড় আর বৃষ্টি। এ ঝড় আর বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অষ্টমী স্নানোৎসবে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পূণ্যার্থীরা ব্রহ্মপুত্রের জলে স্নান করে পাপ মোচনের জন্য প্রার্থনা করেছেন।
বুধবার (২৯ মার্চ) স্থানীয় প্রশাসন পূণ্যার্থীদের থাকা-খাওয়া, যাতায়ত ও সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি ব্রহ্মপুত্রের তীরবর্তী দীর্ঘ চরাঞ্চলে স্নানের পর কাপড় বদলের গৃহ, সুপেয় পানির ব্যাবস্থা ও অস্থায়ী সৌচাগারের ব্যবস্থা করেছেন। পূণ্যার্থীরা সকালে স্নান শেষে কুলেশ্বরী দেবালয়ে প্রসাদ বিতরণ ও পুজা-অর্চনায় অংশ নেন।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের হোসেনপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র শীলসহ অনেকেই জানান, নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দের পর হোসেনপুরের ব্রহ্মপুত্র নদে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অষ্টমী স্নানোৎসবে এ বছর প্রায় অর্ধলক্ষাধিক পূণ্যার্থীর আগমন ঘটেছে। এ উপলক্ষে স্থানীয় কয়েকটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন শিশু কিশোরদের চিত্ত-বিনোদনের জন্য নাগরদোলার পাশাপাশি ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগীতার আয়োজন করে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিন্দ্য মন্ডল, হোসেনপুর সার্কেল সুজন চন্দ্র দাস, ওসি মো: আসাদুজ্জামান টিটু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম নুরু মিয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা ব্রহ্মপুত্রের স্নান ঘাট পরিদর্শন করেন।
তাছাড়া, কুলেশ্বরী দেবালয়, উপজেলা পরিষদ চত্বর, রামপুর বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় বিশাল মেলা আয়োজন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে সার্বক্ষনিক র্যাব ও পুলিশি টহল অব্যাহত থাকার পাশাপাশি পূণ্যার্থীদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা বেস্টনি তৈরী করেছে স্থানীয় প্রশাসন।