কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলাম কে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিতে নামাজের সময় ফলের দোকানের সামনে ঝুলিয়ে রেখে যান “নামাজের জন্য বিরতি” লেখা সাইনবোর্ড।বিষয়টি ধর্মপ্রাণ ইসলাম ধর্মাবলম্বিদের হৃদয় ছুঁয়েছে। ইসলামের প্রতি অনুগত্যের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
মসজিদে মোয়াজ্জিনের কণ্ঠে আজানের সু-মধুর ধ্বনি কানে বাজতেই বিসমিল্লাহ ফল ভান্ডার ফলের আড়ৎ এ আল্লাহর উপর ভরসা করে “নামাজের জন্য বিরতি” লেখা একটি সাইনবোর্ড দিয়ে ব্যবসা-বানিজ্য রেখেই চলে যান মসজিদে। এতে ব্যবসার ক্ষতি, মালামাল চুরি হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও তা নিয়ে কোন চিন্তার ভাজ নেই। উল্টো ব্যবসা আরও বেশি ভালো হয় বলে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন।
জানা যায়, উপজেলার পৌর এলাকার হাই স্কুল রোড” ফল পট্টিতে “বিসমিল্লাহ ফল ভান্ডার” যাবতীয় ফলের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা। উক্ত ফলের আড়ৎ এর প্রোপ্রাইটর মো: দুলাল মিয়া সাথে আছেন আব্দুল্লাহ ও মো: আব্দুল হান্নান।
আরও জানা যায়, এই ব্যবসা সংশ্লিষ্ট মালিক কিম্বা কর্মচারী প্রত্যেকেই জামাতের সহিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি। বিসমিল্লাহ ফল ভান্ডারের মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে জানতে পারি, জামাতের সহিত নামাজি না হলে কোনো কর্মচারীও ব্যবসায় নিয়োগ দেন ন। এ যেন ইসলাম কে আরও মর্যাদাবান করার সুস্থ সুন্দর প্রয়াস।
সরেজমিনে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দোকানে গিয়ে কথা হয় ময়মনসিংহের পাগলা থানা থেকে আসা ক্রেতা মো: বিল্লাল হোসেনের সাথে তিনি জানান, বিসমিল্লাহ ফল ভান্ডারের প্রতিটি লোক ধর্মের প্রতি অত্যন্ত নিবেদিত প্রাণ। তাই এখান থেকে ফল কিনলে ঠকার ভয় থাকেনা।
জৈনেক মহিলা জানান, তারা ধর্মের প্রতি যেমন যত্নবান তেমনই নিঃস্বার্থ মানব সেবাও করে বেড়ান। আমার স্বামী অসুস্থ উনার চিকিৎসার জন্য তাদের অবদান অনস্বীকার্য।
নামাজের জন্য বিরতি সাইনবোর্ডটা লেখার রহস্য কি জানতে চাইলে আড়ৎ এর স্বত্বাধিকারীদের একজন মো: আব্দুল হান্নান বলেন, নামাজের সময় যখন আমরা মসজিদে চলে যাই তখন অনেকে খোঁজাখুজি করে। তাছাড়া ব্যবসা বাণিজ্যসহ দুনিয়াবি সকল কাজের উর্দ্ধে হলো মহান আল্লাহর ইবাদত। সম্মানিত ক্রেতারা আমাদের খুঁজে না পেয়ে মনে কষ্ট পান না, সাইনবোর্ড দেখলেই বুঝতে পারেন আমরা নামাজে। এমন একটা সাইনবোর্ড দিয়ে গেলে কেউ আর খুজবে না। বা কেউ কষ্ট পাবেনা। এটা দিলে ইসলামের উপাসনার দিকে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের আগ্রহ আরও তরান্বিত হবে। সেই চিন্তা থেকে এটা দিয়েছি।