কিশোরগঞ্জ

বুযুর্গানে দ্বীন হেলিম মাওলানা সাহেবের অলৌকিকত্বের স্বাক্ষী এই শিমুল গাছ

পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দিতে বসবাস করতেন মরহুম মাওলানা আব্দুল হেলিম (রহঃ)  বিশিষ্ট আল্লাহর ওলিদের মধ্যে একজন। জীবদ্দশায় বহু অলৌকিকত্বের নিদর্শন রেখে গেছেন।যার একটি ঘটেছিল হোসেনপুর উপজেলার গড়মাছুয়া টানপাড়া।একটা শিমুল গাছকে কেন্দ্র করে।
কালের স্বাক্ষী হয়ে হোসেনপুর টু হাজীপুর রোডের গড়মাছুয়া টানপাড়া জনবহুল রোডের পাশেই, রোডের মাটিকে ভালবেসে জড়িয়ে আছে এই শিমুল গাছটি।কিশোর গঞ্জ জেলার হোসেনপুরের সিদলা ইউনিয়নের শেষ দিগন্ত জিনারী ইউনিয়নের শুরু মরহুম গিয়াসউদ্দিন মাষ্টারের বাড়ী সংলগ্ন স্থানে।প্রায় শতবছর পূর্বে জন্মে ছিল উক্ত শিমুল গাছটি।
কথিত আছে শিমুল গাছটি নিয়ে ওলিআল্লাহ  বুযুর্গানে দ্বীন মরহুম মাওলানা আব্দুল হেলিম( রহঃ)  সাহেবের সুমহান এক অলৌকিকত্বের কথা। বহু বছর পূর্বে উল্লিখিত স্থানের কাছাকাছি কোন এক মসজিদে তাবলীগের কাজে যাওয়ার পথে উল্লিখিত স্থানে দেখতে পান একটি শিমুল গাছ, যার শিকড় রাস্তার মাঝ বরাবর,অন্যপাশে চলে যাওয়ার উপক্রম ।যারফলে যুগ যুগ ধরে  চলে আসা যাতায়াত ব্যবস্থা তুমুলভাবে ব্যাহত হয়।বিরাট একটা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় হাজার রকমের হাজার মানুষ চলাচলে কিন্তু অজানা কোন কারনে গাছটা কাটা হচ্ছেনা।এলাকার ময়মুরুব্বি কর্তৃকও মাওলানা সাহেব কে বিষয়টি অবহিত করেন।
পরের দিন মাওলানা সাহেব জিনারী ইউনিয়নের বীরকাটী হাড়ী গ্রামের হাফেজ লুৎফর রহমানকে সাথে নিয়ে উক্ত শিমুল গাছের নিচে গিয়ে মাওলানা সাহেব হাফেজ সাহেবকে পবিত্র কোরআনের সূরাহ মোজাম্মেল পাঠ করতে বললেন এবং মাওলানা সাহেব অন্যান্য নৈবেদ্য  ইসলামিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে আল্লাহ চুবাহানাহু তায়ালার নামে গাছকে রাস্তা ছেরে দেওয়ার হুকুম করেন।পলকে শিমুল গাছটির শিকড় মানুষ চলাচলের পথ খুলে দিয়ে উল্টো দিকে সরে যায়।এমনটিই দাবী করেন হাফেজ লুৎফর রহমানের পুত্র হাফেজ হাবিবুর রহমান। যিনি উক্ত গাছকে কেন্দ্র করে ঘরে উঠা জামে মসজিদের বর্তমান ইমাম।একটা সময় দেখা যায়, উক্ত মোজেজার স্মৃতির প্রতি ভালবাসা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে গড়ে তুলেন মসজিদ সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীরা।
মিশন৯০ কে তিনি আরো বলেন- দীর্ঘ দিন এই মসজিদে ইমামতি করেছেন তার পিতা হাফেজ লুৎফর রহমান । বর্তমানে তিনি ইমামের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।
আমরা দেখতে পাই শিমুল গাছটির কাছেই একটা দান বাক্স যা থেকে উক্ত জামে মসজিদের ইমাম সাহেবের বেতন দেয়া হয় ।কেউ কেউ ধারনা করেন দান বাক্সে মোটামুটি ভাল অর্থ করী পরে। ইমাম সাহেবের বেতন মিটিয়ে,  কোন খাতে ব্যয় হয় বাকী অর্থ সঠিকভাবে জানা যায়নি।নাকি কেবল বেতন সমপরিমাণ হয় তাও স্পষ্ট হয়নি।
আরো জানা যায় ঘটনাটি প্রায় ৮০ থেকে ৯০ বছর পূর্বের। প্রতিবেশী গ্রামের সুখচান(৪২) মিশন৯০ কে জানান-
“আমরার জন্মেরও বহু আগের বিষয় এইডা মুরুব্বিরা কইছে মৌলানা হেলিম সাবের কতায় হেমুল গাচটা সরহের মধ্যে থাইক্কা  সইরা গেছে।
অনেকের সাথে কথা বলে জানতে পারি- উক্ত শিমুল গাছটি এখন মরহুম মাওলানা আব্দুল হেলিম (রহঃ) সাহেবের চমৎকারের যুগ -যুগান্তকারী, কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
কিশোর গঞ্জের কৃতি ব্যক্তিত্বের মাঝে অনবদ্য আলেমেদ্বীন যার নাম সেরা আলোচিত  তালিকায়।তিনি হলেন মরহুম মাওলানা আব্দুল হেলিম(রহঃ)  । মরহুম মাওলানা আব্দুল হেলিম (রহঃ) ছিলেন পুরো জেলা ও নিকটতম  জেলায় প্রসিদ্ধ  কামেলে দ্বীন!
প্রতিবেশি জেলা ময়মনসিংহের গফরগাও উপজেলার নবগঠিত থানা পাগলা থানার অন্তর্গত পাঁচভাগ ইউনিয়নের যুগের সেরা ওলি মাওলানা সামছুল হুদা পাঁচভাগী(রহঃ) এর সাথে কঠিন ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে একাদিক বয়োঃবৃদ্ধ ব্যাক্তিরা উক্তি প্রদান করেন।
চলুন আরেকটি ঘটনায় নজর দেই,
 জানা যায়- কোনএক মূল্যবান বিশাল গাছের মালিকানা নিয়া খুনাখুনি হওয়ার উপক্রম হয়,গন্যমান্য বিশিষ্ট জনেরা স্বরনাপন্ন হোন মাওলানা সাহেবের, মাওলানা সাহেবের উসিলায় উক্ত গাছ যার হক্ক তার মালিকানায় দাড়িয়ে পরে।সত্যের বিজয় রচিত হয়।
এভাবেই অনাদিকাল থেকে ওলি আওলিয়ারা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান করেছেন।মানবতার উত্তরণে কাজ করে গেছেন জীবদ্দশায়।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker