কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আন্ত: চোর চক্রের এক নারী সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৪ জুলাই) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে চিকিৎসা নিতে আসা দু’ নারীর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন চুরির সময় এক নারী চোরকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। আটককৃত নারী চোরের নাম ইয়াছমিন (২৩) বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেলেও সঠিক নাম ঠিকানা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সে সুনামগঞ্জ সদরের মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের উচারগাঁ গ্রামের সোহেল মিয়া স্ত্রী। এ সময় তার আরেক সহযোগী চেইন নিয়ে পালিয়ে যায়। সে কটিয়াদী উপজেলার পালিয়ে যাওয়া ওই নারীর সাথে বসবাস করে এ সকল অপকর্মের সাথে জড়িত বলে জিঞ্জাসাবাদে সন্দেহ হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: আবদুল্ল্যাাহ আল শামীম জানায়; রোববার (২৪ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহি:বিভাগের টিকেট কাউন্টারের সামনের লাইনে ভিড়ের মধ্যে দু’জনের গলা থেকে স্বর্ণের চেইন চুরির ঘটনা ঘটে। এ সময় সৌদি প্রবাসী ফয়সুল ইসলামের স্ত্রী জোৎসনা আক্তার ও আরেক নারীর গলা থেকে দু’টি স্বর্ণের চেইন চুরি হয়। এ সময় জোৎসনা আক্তার নামের এ নারী তা আচ করতে পেরে চিৎকার শুরু করলে টিকেট লাইন থেকে ওই নারী দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় জোৎসনা আক্তার মহিলা চোরকে ধরে ফেলেন।
এ সময় ভুক্তভোগী আরো অনেকে অভিযোগ করেন, করোনা কালীন সময় থেকে টিকা নিতে আসা নারীদের টার্গেট করে অন্তত: অর্ধশত নারীর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন খোয়া যায়। তবে জড়িত কয়েকজনকে হাতে-নাতে আটক করা হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে কোন রকম ঝামেলা নিতে না চাওয়ায় চোরদের ছেড়ে দিতে হয়েছে। এবার জনতার চাপের মুখে এ যাত্রায় চোরকে ধরে জনতা পিটুনি দিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চোরকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। পরে হোসেনপুর থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) আব্দুল আজিজ তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে যায়।
হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ আলম চোর আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চুরির অভিযোগের বিষয়ে ওই নারীকে জিঞ্জাসাবাদ চলছে; সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে তার বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া নেওয়া হচ্ছে।