মুসলিম ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর এর আর মাত্র কয়েকদিন বাকী। এরি মধ্যে ঈদে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে ও কষ্ট লাগবের কথা চিন্তা করে খুলে দেওয়া হয়েছে গাজীপুরের ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুর ও নাওজোর ফ্লাইওভার। এতে ঈদ যাত্রায় উত্তরবঙ্গগামী সহ আসে পাশের জেলা গুলোর সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গতকাল সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ২টার পরেই নির্বিঘ্নে যানচলাচলে একযোগে খুলে দেওয়া হয় ফ্লাইওভার দুটি।যার প্রায় ৯০ ভাগ নির্মান কাজ শেষ হলেও আরো ১০ ভাগ কাজ বাকী রেখেই খুলে দেয়া হয়েছে ফ্লাইওভার।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এডিবির অর্থায়নে সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) সড়ক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় এই ফ্লাইওভার দুটি নির্মিত হচ্ছে।
এদিকে ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২৬৯ মিটার দৈর্ঘ্যের সফিপুর ফ্লাইওভার নির্মিত হচ্ছে। এছাড়া ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের নাওজোর ফ্লাইওভারের কাজ চলছে। তবে ঈদে যানজট ও ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ লাঘর করতেই ফ্লাইওভার দুটি খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে শিল্পা অঞ্চল গাজীপুরে ঈদের সময় যে যানজট ও ভোগান্তি হয় তা অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষরা।
অপরদিকে কাভার্ড ভ্যান চালক জেনারুল ইসলাম বলেন আগে ফ্লাইওভার না থাকায় নীচ দিয়ে যেতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হতো বিশেষ করে অটোরিকশা ও লোকাল বাস গুলোর কারনে বেশী ভোগান্তির শিকার হতে হতো। এখন আর সেই যানজটের ভোগান্তির সৃষ্টি হবে না।
এই ফ্লাইওভারের প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।এর উপ-ব্যবস্থাপক সাখাওয়াৎ হোসেন ও সহকারী প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান জানান, সফিপুর ও নাওজোর ফ্লাইওভারের কাজ এখনো শেষ হয়নি। গাডার ও স্লাপের কাজ শেষ হয়েছে। ঈদে যেন ঘরমুখো মানুষকে ভোগান্তি পড়তে না হয় এজন্য ফ্লাইওভার দুটি খুলে দেওয়া হয়েছে।
কালিয়াকৈরে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ বলেন, ‘ফ্লাইওভার খুলে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ। এই ফ্লাইওভার চালু হওয়ায় সড়কে যাত্রী ভোগান্তি কমবে বলে আমি আশা করছি।’
সালনা কোনাবাড়ি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাইওভার দুটি খুলে দেওয়ায় ঈদে উত্তরবঙ্গগামী মানুষের যানজটের ভোগান্তি অনেকটাই কমে যাবে।’