দেশে চলছে শৈত্য প্রবাহ, পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কষ্টের সীমা থাকে না। এসব ছিন্নমূল শীতার্ত শিশুদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে “শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশন।”
জানা যায়, “শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশন” মূলত স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের টিফিন থেকে জমানো টাকায় পরিচালিত একটি সামাজিক সংগঠন।
“শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশন” প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন মানবিক কাজ করে উপজেলাব্যাপী ব্যাপক সুনাম কুঁড়িয়েছে। স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সংগঠনের কার্যক্রম ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে হোসেনপুর উপজেলায় বিভিন্ন মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।
শনিবার (২২ জানুযারি) বিকাল ৪ টায় কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার পিতলগঞ্জ বাজারে ক্রেতা বিক্রেতার উপচে পড়া ভিরের মাঝে অন্যান্য বিক্রেতার পাশাপাশি ছিন্নমূল ৬ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুরাও এসে তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য বাজারে বিভিন্ন কাজকর্ম করে থাকে। এসব ছিন্নমূল শিশুরা এই কনকনে শীতে গরম পোশাক ছাড়া বাজারে ঘোরাফেরা করছিল। এমন খবর পেয়ে এসব শিশুদের শীতের পোশাক উপহার দিতে এগিয়ে আসে হোসেনপুরের “শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশন”। ছিন্নমুল ৬ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুদের মাঝে সোয়েটার ,জ্যাকেট ও গেঞ্জি উপহার দেয় তারা।
৯ বছর বয়সী শিশু সিরাজ বলেন, শীতের কোন গরম কাপড় আছিন না। এই শীতে শরীর কাঁপতো। এহন (এখন) এই জামপাট (জ্যাকেট) পেয়ে খুব আনন্দ লাগতাছে।
৬ বছরের শিশু শাহাদাত বলেন বলে, এই শীতের জ্যাকেট পাইয়া অনেক খুশি লাগতাছে। এহন (এখন) শীতে আমারে পাইতো না।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুল হক রিয়াদ জানান, সুবিধাবঞ্চিত ও অনাথ শিশুদের পাশে দাঁড়ানো এক অসাধারণ অনুভূতি। নিজেদের সীমাবদ্ধতার জন্য খুব বেশি শিশুদের কাছে পৌঁছাতে পারছি না। তবে ভবিষ্যতে কিশোরগঞ্জ জেলার অসহায় শিশুদের পাশে দাঁড়াতে পারবো বলে আশাবাদী।
কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে অভিজ্ঞতার কথা জানান সংগঠনের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হৃদয় সরকার। তিনি বলেন, উপজেলার ছিন্নমূল শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অর্থের থেকে বেশি যেটা প্রয়োজন, সেটা ইচ্ছা। সমাজের বিত্তবানদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে শীতের কষ্ট লাঘবে যতটা সম্ভব এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি।
“শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশন” এর উপদেষ্টা এ বি এম ছিদ্দিক চঞ্চল জানান, স্কুল পড়ুয়া শিশুদের নিয়ে এই সামাজিক সংগঠনের সকল কার্যক্রম অত্যন্ত মানবিক ও মহৎ। ওদের মত সমাজের সকল বিত্তবান ব্যক্তি এগিয়ে আসলে দুস্থ ও অসহায় মানুষগুলো একটু সুখের ছোঁয়া পাবে বলে মনে করি।