ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় কিশোরগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
রোববার থেকে কিশোরগঞ্জেও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে টানা বৃষ্টি হওয়ায় কাজে বের হওয়া এবং অফিসগামী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। মাঠে ঘাটে দৈনিক মজুরিতে কাজ করা সোনার মানুষগুলি পোহাচ্ছেেন কঠিনতম ভোগান্তি।
হোসেনপুর কুঁড়িঘাট মোড়ে ছাতা মাথায় খুব সকালে চোখে পড়ে একজন বৃদ্ধ, জীর্ণ বসনে মৌন মনে দাঁড়িয়ে আছে, চোখে-মুখে বিষন্নতার ছাপ। কাজ পাওয়ার প্রতিক্ষায় আছেন,পাচ্ছেন না কোন কৃষক কাজে নেওয়ার জন্য।
বস্তুত: প্রতিদিন সকালে দৈনিক মজুরিতে কাজ করা এক ঝাক খেঁটে খাওয়া মানুষদের হাট বসে কুড়িঁঘাট মোড়ে, আজ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে তেমন শ্রমজীবীদের উপস্থিতি হয়নি। উপস্থিতি নেই দৈনিক মজুরিতে কাজে লাগানো কৃষকদের। অতচ উপজেলায় বিভিন্ন মাঠে আমন ধান কেটে বিছানো আছে মাঠের পর মাঠ।
উপজেলার মফস্বলের শ্রমজীবীদের আড্ডায় সময় কাটাতে দেখা যাচ্ছে চায়ের দোকানগুলিতে, নাসির হোসেন চা দোকানদার আমাদের জানান, সকাল থেকে মানুষ বৃষ্টির কারনে মাঠে যেথে না পেরে দোকানে বসে সময় পার করছেন। আবার মৎস্য শ্রমিকরা নদী-নালা, খাল-বিলে দেশীয় যন্ত্রপাতি দ্বারা মাছ শিকারে ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন। যদিও শীতের তীব্রতায় গায়েঁ কাপুনি।
সাহেবের চর গ্রামের কৃষক উজ্জ্বল মুন্সির সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র বিস্তীর্ন চরাঞ্চলে হলুদ গালিচায় পরিপূর্ণ শরিষা ফসলের ব্যপক ক্ষতির আশঙ্কা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় এটি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, জাওয়াদ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ক্রমান্বয়ে দূর্বল হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব থাকবে মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত। সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।