কিশোরগঞ্জ

জনতার গাইড লাইন, হোসেনপুরে রেললাইন

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে কিছুদিন ধরে  সোস্যাল মিডিয়ায় ভেসে আসছে শুধু রেললাইন স্থাপনের দাবী। হোসেনপুর সরকারি কলেজের সম্মানিত প্রভাষক এবিএম ছিদ্দিক চঞ্চলের ডাকে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন মহল স্যোসাল মিডিয়ার বিভিন্ন অঙ্গনে দাবী জানিয়ে যাচ্ছেন।

“হোসেনপুরের বীরেরা সব কোথায় গেলি আজ”, “গনমানুষের অধিকারের ডাক এসেছে ডাক”, “জনতার গাইড লাইন, হোসেনপুরে রেললাইন”, এমনই অসংখ্য স্লোগানে মোখরিত মেটা মিডিয়া।

হোসেনপুর সরকারি কলেজের প্রভাষক এবিএম চঞ্চল বর্ণনা করেন, হোসেনপুর রেললাইন এখন অবধি নেই। এটি একটি অতৃপ্ত ইতিহাস। ব্রিটিশ আমলে বর্তমান জাঙালিয়া অঞ্চলসহ এ এলাকায় জেলা হবার প্রস্তাব ছিল। তা যদি হতো, তবে আমরা রেললাইন তখন থেকেই পেয়ে যেতাম। কোন অজ্ঞাত কারণে তা চলে গেল বর্তমান কিশোরগঞ্জে। জেলা হল কিশোরগঞ্জ, হোসেনপুর থানা হলো ১৯২১- ১৯২২ এর দিকে। কিশোরগঞ্জ রেললাইন  পেয়ে গেল, আমরা পেলাম না, আজ অবধি রয়ে গেলাম বঞ্চিত। দুঃখবোধ বয়ে বেড়াচ্ছি শুরু থেকেই। ইদানিং  কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলাকে সৌভাগ্য ছোঁয়া দিতে যাচ্ছে রেললাইন। আমরা সেই সৌভাগ্যের ছোঁয়া কী করে পেতে পারি, তারও কোনো দিক নির্দেশনা দেখি না। এটি বড়ো কষ্টের কথা। ভৌগোলিক দিক থেকে যদি দেখি, তবে পাকুন্দিয়ায় রেললাইন হলে, সেখানে হোসেনপুরকে যুক্ত করলেই চলে। তাতে পথ বিস্তৃত না হয়ে সংক্ষিপ্তই হবে। এখানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ  সরকারের সদিচ্ছাই যথেষ্ট। এ কাজটি হলে সহজেই  কিশোরগঞ্জের পশ্চিমাঞ্চল, নান্দাইলের দক্ষিণাঞ্চল, গফরগাঁওয়ের পূর্বাঞ্চলের লোকজনের পক্ষে ঢাকা যাতায়াত সহজ হবে। যদি রেললাইন নান্দাইল পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়, তবে দেশের উত্তরাঞ্চলের জন্য তা এক অভাবনীয় সাফল্য হিসিবে ধরা দিবে। হোসেনপুরের সকল স্তরের মানুষ আজ রেললাইন হবার পক্ষে সোচ্চার। মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের বিনীত ও আকুল আবেদন আমরা হোসেনপুরবাসীর প্রাণের দাবি, রেললাইনের দাবি সদয় বিবেচনায় রাখবেন। আমরা এ সংসদীয় এলাকার সম্মানিত সংসদ সদস্য বেগম জাকিয়া নূর লিপি মহোদয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী, হোসেনপুরের সন্তান কৃষিবিদ জনাব মশিউর রহমান হুমায়ুন সাহেবের কাছে আবেদন রাখতে চাই। কী করে সহজেই আমরা রেললাইন পেতে পারি, সেই রুদ্ধ কপাটের দ্বার উন্মোচন করবার কৌশলটি হাতে নিন।

আমরা বরাবরই জেনে আসছি, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আপনারা খুব কাছের লোক, নিকট জন। আর আপনাদের প্রতি হোসেনপুরবাসীর এ ধারণাই মূল পুঁজি। বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। তাই আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা হোসেনপুরের জন্য  বিশাল কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। উপজেলার সচেতন মহল এভাবেই বিভিন্ন পুষ্টের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে জানান দিয়ে যাচ্ছেন।

অসংখ্য পাবলিক ফেইসবুক গ্রুপ ও পেইজে জানান দেয়া হচ্ছে একযোগে, রেললাইনের দাবী করে বিভিন্ন পুষ্ট।

জানা যায়, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ০২ জন করে ছাত্র, ০১ জন করে সম্মানিত শিক্ষক, ০২ জন স্থানীয় সাংবাদিক, ০১ জন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং উপর্যুক্ত প্রত্যেক মানবিক সংগঠনের সম্মানিত সভাপতি ও সম্পাদক (০২ জন) করে নিয়ে অচিরেই একটা কমিটি গঠন করা হবে। কিভাবে হোসেনপুর উপজেলায় রেললাইন স্থাপনের দাবী বাস্তবায়ন  অনুকূলে আনা যায়।

জামিউল হাসান হেভেন জানান, আগামী ১০ ডিসেম্বর আমরা পরামর্শ সভা করবো। তারপর হোসেনপুর উপজেলা নেতৃবৃন্দের কাছে আমাদের দাবি জানাবো এবং লিখিত আকারে ইউএনও স্যার ও ডিসি স্যার বরাবর চিঠি পাঠাবো সেই সাথে জোড়ালোভাবে একটি মানববন্ধন কর্মসূচি করবো।

বিল্লাল হোসেন বিপ্লব বলেন, হোসেনপুরে রেললাইন হওয়াটা আমাদের প্রানের দাবী।

Author


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker