কিশোরগঞ্জ

সিদলাবাসীর প্রতি চির কৃতজ্ঞ সিরাজ উদ্দীন

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ২নং সিদলা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আপামর জনসাধারণের মনোনীত সফল চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দীন (এমএ) চতুর্থ ধাপের নির্বাচন ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন।

সিদলা ইউনিয়নে ২১টি গ্রামের সমন্বয়ে ৯টি ওয়ার্ড গঠিত, প্রতিটি ওয়ার্ডে বিশাল একটা মৌনতা লক্ষ্য করা যায়,আপামর জনতার চাওয়া ছিল তিনি স্বতন্ত্র থেকে আবারো নির্বাচন করবেন কিন্তু দলের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এবং প্রিয় জনগনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।

সরেজমিনে ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকা ঘুরে জানা যায়, বিপুল জনসমর্থন ছিল তার। অনুকূলে মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দীন (এমএ) নির্বাচনে না আশায় কর্মী সমর্থক ও সিংহভাগ ভোটাররা নিরব অবস্থানে ব্যাথিত হয়েছেন। সাধারণ জনগনের সাথে কথা বলে জানতে পারি, সিদলার ইতিহাসে এতটুকু উন্নয়ন কেউ করতে পারেনি যতটুকু তার দ্বারা সম্ভব হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জৈনেক ব্যাক্তি বলেন, সিরাজ উদ্দীন চেয়ারম্যানের অবধান সিদলার মানুষ অস্বীকার করার মত নয়, শুধু মুষ্টিমেয় কয়েকজন স্বীয় স্বার্থে যারা সুবিধা বঞ্চিত তেমন লোকেরায় নিন্দা করে।

গড় মাসুয়ার ডাক্তার উজ্জ্বল জানান, সিরাজ ভাই অত্যন্ত জনবান্ধব, ন্যায় বিচারক, এ অভাব সিদলার মানুষ অনুভব করবে।

সাহেবের চরের মানিক (কালা মানিক) জানান, আমাদের কষ্ট হলেও সিরাজ ভাই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দলের বাহিরে যায়নি, আমার বিশ্বাস তিনি চেয়ারম্যান না থাকলেও জনগন তাকে সার্বক্ষণিক পাশে পাবে।

নির্ভরযোগ্য তত্বমতে, হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে চার বার নির্বাচন করে তিনবার প্রথম স্হান অধিকার করেছেন একবার দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন, পিতলগঞ্জ  উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই বারের সভাপতি এবং বর্তমান সভাপতি মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দীন (এমএ) এছাড়াও  বর্তমান সফল চেয়ারম্যান দুইবার জেলার সেরা চেয়ারম্যান উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।

মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দীন  সিদলাবাসীর উদ্দেশ্যে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “প্রিয়  সিদলা বাসী আসসালামু আ্লাইকুম, আপনারা যারা আমার জন্য  কষ্ট  করেছেন, আমি তাদের  প্রতি  আজীবন ঋণী। আমার রাজনৈতিক হাতেখড়ি  বাংলাদেশ ছাত্র লীগ হোসেনপুর  কলেজ শাখা ১৯৯১ সালে, সে সময় থেকে  আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি লড়াই  সংগ্রাম আন্দোলনে অগ্রভাগে রয়েছি। কোনদিন  পিছু হটেনি। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ ছাত্র লীগ  হোসেনপুর  উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক পদে অধিষ্ঠিত  হয়েছি। আওয়ামী যুব লীগ করেছি, নতুন করে আগন্তুকের মতো দলে আসিনি। তাই দলকে ভালো বাসি। দলের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস রেখে, মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী  শেখ  হাসিনার নির্দেশনা মেনে নির্বাচন  থেকে সড়ে দাঁড়ালাম। প্রিয়  এলাকাবাসী  আপনাদের ভালবাসা আমি সিক্ত, জানি আপনারা যারা আমাকে ভালোবাসেন তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ  হয়েছে, আমার এই সিদ্ধান্তে। তার পরেও মাননীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি  আস্থা বিশ্বাস রেখেছি।”

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker