অর্থাভাবে অসহায় বৃদ্ধ সিরু মিয়ার চিকিৎসা থেমে আছে
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বাঁশ ও বেতশিল্পী সিরাজ উদ্দিন সিরু পায়ের পচনে কর্মক্ষমতা হারিয়ে বিছানাবন্দি, সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য কামনা।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের আড়াইবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ উদ্দিন সিরু (৫৫) এক সময় ছিলেন বাঁশ ও বেতের পণ্যের একজন দক্ষ কারিগর। বর্তমানে পায়ের পচনে কর্মক্ষমতা হারিয়ে তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অর্থাভাবে তার চিকিৎসা থেমে আছে, যার ফলে দিন দিন শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। চলাচলের জন্য একটি হুইলচেয়ারের প্রয়োজন হলেও, সেটিও তিনি জোগাড় করতে পারছেন না। তাই চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয় ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে সিরু মিয়ার বাম পায়ে পচন ধরেছিল। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে অস্ত্রোপচার করানো হয়। সফল অস্ত্রোপচারের পর কিছুদিন সুস্থ থাকলেও, বর্তমানে তার ডান পায়ে একই ধরনের পচনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই মুহূর্তে তিনি একেবারেই চলাফেরা করতে পারছেন না এবং বিছানায়ই বন্দি হয়ে আছেন।
সিরু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাঁশ ও বেতের হস্তশিল্প তৈরির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন এবং সেই সামান্য আয়ে কোনোমতে সংসার চালাতেন। তবে এখন শারীরিক অক্ষমতার কারণে তার কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। রোজগারের পথ না থাকায় তাকে খাবার জোটাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।
চোখে অশ্রু নিয়ে সিরু মিয়া বলেন, “চলাফেরা তো দূরের কথা, বিছানা থেকে উঠতেও পারি না। টাকার অভাবে চিকিৎসাও হচ্ছে না। হুইলচেয়ার পেলে অন্তত নিজে নিজে বসে কিছু কাজ করতে পারতাম বা প্রয়োজনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারতাম। আমি সমাজের সচ্ছল মানুষদের কাছে সহযোগিতা চাই।”
প্রতিবেশী ও স্কুল শিক্ষিকা তাছলিমা আক্তার জানান, “গতবার এলাকার লোকজন মিলে ওনার চিকিৎসার খরচ জোগাড় করেছিল। এবারও তার শরীরের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসা করানোর মতো অর্থ তার হাতে নেই।”