গোপালগঞ্জে রাত ৮টা থেকে কারফিউ জারি
এনসিপি সমাবেশে হামলাকে 'মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন' বলে সরকারের কঠোর হুঁশিয়ারি
গোপালগঞ্জে আজ (বুধবার, ১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সন্ধ্যায় এই তথ্য জানিয়েছে। এর আগে, অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতাকে ‘মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন’ আখ্যায়িত করে হামলাকারীদের কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
কারফিউ জারি ও এর সময়সীমা
গোপালগঞ্জের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ রাত ৮টা থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ে নাগরিকদের চলাচল সীমিত থাকবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
সরকারের কঠোর অবস্থান ও নিন্দা
এনসিপির সমাবেশকে ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গোপালগঞ্জে আজ সহিংসতা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।” সরকার এই হামলাকে “বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে তরুণ নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে বাধা দেওয়া তাদের মৌলিক অধিকারের লজ্জাজনক লঙ্ঘন” বলে অভিহিত করেছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যরা, পুলিশ এবং গণমাধ্যমের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে, তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং ব্যক্তিদের ওপর সহিংসভাবে আক্রমণ করা হয়েছে।”
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার
অন্তর্বর্তী সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, “নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ অ্যাক্টিভিস্টদের এই জঘন্য কর্মকাণ্ড বিনা বিচারে ছেড়ে দেওয়া হবে না। দায়ীদের দ্রুত চিহ্নিত করা হবে এবং বিচার নিশ্চিত করা হবে।” বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের ওপর এ রকম সহিংসতা করার জায়গা নেই।”
এই কারফিউ ও সরকারের কঠোর অবস্থান থেকে বোঝা যাচ্ছে, গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার দ্রুত ও দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছে।