সারাদেশের ন্যায় ঈদের ছুটির পর শুক্রবার ভোর (২৩ শে জুলাই) থেকেই গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। লকডাউনের প্রথম দিনে উপজেলার গুরুত্বপুর্ণ জায়গাগুলোতে দেখা গেছে শুনশান নীরবতা। এদিকে কঠোর লকডাউনে ঈদের ছুটিতে গাজীপুরের সকল কল-কারখানা ও পোষাক কারখানা ছুটি থাকায় মহাসড়ক ফাঁকা।
অপরদিকে পাড়া মহল্লার চিত্রও ভিন্ন উপজেলার হরিনহাটি, বিশ্বাস পাড়া, চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুত,মোল্লাপারা,পূর্ব চান্দরা, পাশাগেইট, বোর্ডমিল, সফিপুর বাজার, রাখালিয়াচালা,আন্দারমানীক এলাকা সহ উপজেলার আরো বিভিন্ন জায়গায় লকডাউনের বিধিনিষেধ মেনেই চলছে কঠোর লকডাউন। দোকান পাট, চায়ের দোকানে দেখা যায়নি মানুষের ভীড়। প্রায় জায়গায় দেখাগেছে স্বাস্থবিধি মেনেই চলছে কঠোর লকডাউন । বিশেষ করে হরিনহাটি আর বিশ্বাস পাড়া এলাকায় সব গুলো চায়ের দোকান খোলা রাখলেও নেই জন সাধারণের ভীড়, পাশাপাশি নিয়মিত টহল দিচ্ছে আইন প্রশাসন।
এদিকে শুক্রবার উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে লকডাউনের প্রথম দিনে সকালের দিকে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকায় গণপরিবহন মহাসড়কে একেবারেই নেই। জেলা পুলিশের দুইটি চেকপোস্ট কাজ করছে।
সরজমিনে বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের চিত্র দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় কাউকে থাকতে দেওয়া হয়নি। রাস্তায় বের হলে প্রশ্নের মুখোখুখি হতে হয়েছে সবাইকেই। যৌক্তিক জবাব দিতে না পারলেই করা হয়েছে জরিমানা।
হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার আলী আহমদ খানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, উপযুক্ত কারণ ছাড়া কোন প্রাইভেটকার চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। মহাসড়কে আমাদের ১১টি চেকপোস্ট কাজ করছে। সরকারের যে বিধিনিষেধ আছে তা কার্যকর করতে হাইওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে।