গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর এলাকায় পরকীয়ার জেরে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামী জাহিদুল ইসলাম(৩০)কে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে । পরে নিহতের লাশ বালু চাপা দিয়ে গোপন করে পালিয়ে যায় স্ত্রী ও তার প্রেমিক । এ ঘটনায় স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৭ জুলাই) রাতে জামালপুরের বকশীগঞ্জ নীলেরচর এলাকার প্রেমিকের গ্রামের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনা সূত্র গত ৬ জুলাই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।এঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আত্নগোপনে ছিলেন।এদিকে এই ঘটনার ঘাতক স্ত্রী ও তার প্রেমিকে পুলিশ আটক করে তাদের শিকারক্তি মূলক জবানবন্দির পরিপ্রেক্ষিতে ১০ দিন পর শুক্রবার (১৬ জুলাই) গাজীপুর নগরীর কাশিমপুর শৈলডুবী এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির কক্ষে বালুর নিচ থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তি কুড়িগ্রামের রৌমারী থানার চর বোয়ালমারী গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে।
এই ঘটনার সাথে জড়িত গ্রেফতারকৃতরা হলেন রৌমারী থানার বড়াই কান্দি গ্রামের শুকুর আলী দেওয়ানীর মেয়ে রুপালী খাতুন (২৫) ও তার প্রেমিক জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানার নীলেরচর গ্রামের নজরুল ইসলাম সরকারের ছেলে মোহাম্মদ সুজন মিয়া (১৯)।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ উত্তর) জাকির হাসান জানান, জাহিদুলের স্ত্রী রুপালী খাতুনের সঙ্গে প্রেমিক সুজন মিয়ার ৮-৯ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহের জেরে রুপালী তার স্বামী জাহিদুলকে হত্যার করে প্রেমিক সুজনের সঙ্গে সংসার করার পরিকল্পনা করেন।
পরে গত ৬ জুলাই রাত ১১টার দিকে জাহিদুল বাসায় এলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, রুপালী দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়। একপর্যায়ে রাত ১টার দিকে সুজন ঘুমন্ত জাহিদের হাত-পা চেপে ধরেন ও রুপালী তাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে দুজন মিলে ওই নির্মাণাধীন বাড়ির বালুর নিচে তার মরদেহ চাপা দেন।
গত শুক্রবার জাহিদুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কুড়িগ্রাম ও জামালপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।