আসন্ন ঈদুল আজাহার বাকি আছে মাত্র ৩ দিন। এর মাঝে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সদর বাজারের পশুর হাট জমে উঠেছে। উপজেলার পশুর হাটে কৃষক, খামারি ও ব্যাপারীরা দেশি বিদেশি সাইলো ফিজিয়ানসহ নানা জাতের গরু-ছাগল হাটে নিয়ে আসছেন।
গত বছরের তুলনায় এ বছর গরু-ছাগলের দাম একটু বেশি চাওয়া হচ্ছে। এরপরও ক্রেতারা দাম শুনে হাট ঘুরে ঘুরে দেখছেন। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারিরা।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা চড়া দাম হাঁকিয়ে বসে রয়েছেন। তাই সামর্থ্য অনুযায়ী গরু-ছাগল কিনতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। সদর বাজার পশুর হাটে গরু-ছাগল নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা।
বিক্রেতা কালু মিয়া বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর দেশীয় পদ্ধতিতে গরু-ছাগল মোটাতাজা করতে অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। যদি গরুর দাম দেড় লাখ টাকা চাই তাহলে ক্রেতারা তার দাম ৮০ থেকে ৯০ হাজার বলে। আর যদি এক লাখ টাকা চায় তাহলে ক্রেতারা দাম বলেন ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। কোনো কোনো ক্রেতা দাম বেশি দিয়ে কিনে নেন। আবার কিছু ক্রেতা দাম শুনে চলে যান।
গরু কিনতে আসা গাজির টেক থেকে আব্দুল্লাহ-আল মারজান বলেন, ঈদের সময়ে একটু বেশি দাম থাকবেই সেটা আমরাও জানি। তবে তুলনামূলকভাবে এ বছর দামটা একটু বেশি।
চরভদ্রাসন সদর বাজার হাটের ইজারাদার মো: খোকন মোল্লা বলেন, জাল টাকা শনাক্ত করার ব্যবস্থা, ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থাসহ সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে এই হাটে।