ফরিদপুর

ফরিদপুরে কাঁচা মরিচের কে‌জি ৮০০ টাকা!

ফরিদপুরে কাঁচা মরিচের কেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শনিবার (১ জুলাই) সকালে শহরের হাজী শরীয়তউল্লাহ বাজার, স্টেশন বাজার ও অম্বিকাপুর বাজারসহ বিভিন্ন দোকানে এই দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে দেখা গেছে।

শহরের হাজী শরীয়তউল্লাহ বাজারের আড়তে কাঁচা মরিচ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি আর খুচরা বাজারে ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান।

শহরের আলীপুরের বা‌সিন্দা জা‌কির হো‌সেন বলেন, সকা‌লে বাড়ির পাশের অম্বিকাপুর বাজারে মরিচ কিনতে গি‌য়ে দাম জান‌তে চাই‌ল এক বিক্রেতা ৮০০ টাকা কেজি দাম চান।

পাশের আরেক বিক্রেতা চেয়েছেন ৭০০ টাকা কেজি।

রথ‌খোলা এলাকার বা‌সিন্দা উত্তম দাস জানান, হাজী শরীয়তউল্লাহ বাজারেও ৮০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে।

জেলার ম‌রি‌চের ভান্ডার ব‌লে প‌রি‌চিত মধুখালীর বৈকণ্ঠপুর গ্রামের বাসিন্দা বাশার মিয়া জানান, পাইকারি বাজারে কৃষকেরা এক মণ কাঁচা মরিচ ১৮ হাজার থেকে ১৯ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন। এবার মৌসুমের শুরুতে প্রচণ্ড খরায় মরিচের তেমন ফলন হয়নি।

এরপর গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের গাছ মরে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্ষেতের গাছে এখন মরিচ নেই। এজন্য দাম বেড়ে গেছে। আমদা‌নি করা ভারতীয় ম‌রিচ বাজা‌রে নেই।

মধুখালী সদর বাজারের আড়ৎদার আলম বলেন, দফায় দফায় কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে। পাইকারি বাজারে ২০ হাজার টাকা দরে প্রতি মণ মরিচ কিনেছি। সে হিসাবে কেজি পড়ে ৫০০ টাকা। খুচরা বাজারে যে যেভাবে পারছে বিক্রি করছে। খুচরা ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ বলেন, মরিচের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি কৃষি বিভাগের তদারকি করার কথা। আমাদের মাত্র একজন জনবল রয়েছে। তাই আমরা দ্রুত কাজ করতে পারছি না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জিয়াউল হক জানান, জেলায় এবার তিন হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে মধুখালী উপজেলায় মরিচের চাষ বেশি হয়েছে।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker