ফরিদপুর

পুলিশ থেকে আসামি ছিনিয়ে পালালো ২০ নারী

চার মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছিলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এ সময় রুখে দাঁড়ায় এলাকার কয়েকজন নারী। তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে দুই পুলিশ সদস্যকে। ২০ জনের নারী দলটি ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন ওই আসামিকে।

চলচ্চিত্রের গল্প মনে হলেও এমন ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামে।

রোববার (১ মে) দুপুর ১টার দিকে গ্রামের ছয়আনি পাড়ায় তারা মিয়া (৫৩) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিলেন সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খারদিয়া এলাকার বিট কর্মকর্তা মো: নাজমুল ও সহ-উপ পরিদর্শক (এএসআই) মো: লিয়াকত হোসেন।

কিন্তু এ সময় এলাকার ২০ জন নারী এগিয়ে এসে দুই পুলিশ কর্মকর্তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে আসামি তারা মিয়া ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) সুমিনুর রহমান বলেন,লিশ কর্মকর্তা নাজমুল ও লিয়াকত আসামি তারা মিয়াকে ধরে ফেরেছিল। কিন্তু ওই সময় ওই এলাকার ১৮ থেকে ২০ জন নারী এগিয়ে এসে পুলিশের উপর ঝাপিয়ে পড়েন।

নারীরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ঝাপটে ধরে আলাদা করে ফেলেন। ওই সুযোগে পালিয়ে যান তারা মিয়া। তিনি বলেন, পুলিশের এ অভিযানে কোন নারী পুলিশ না থাকায় নারীদের পক্ষে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া সহজ হয়েছে।

তিনি জানান আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এ ঘটনায় এক নারীকে আটক করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যদুনন্দী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার সাথে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে ওই এলাকায় বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

গত ২১ এপ্রিলের খারদিয়া এলাকায় এই দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ থামাতে আহত হয় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় পরে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে মামলা হয়। মামলার আসামি হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়া গ্রেপ্তার হন। গত বৃহস্পতিবার উভয়েই আদালত থেকে জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরে আসেন।

তারা মিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সমর্থক। তিনিও পুলিশের উপর হামলার মামলার আসামি। এছাড়া তার নামে ২০১৯ সালে একটি এবং ২০২০ সালে দুটি মামলা রয়েছে। চার মামলার এ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে নারীদের হামলার শিকার হন ওই দুই পুলিশ সদস্য।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker