ভিক্ষাবৃত্তি, কর্মে বিমুখতায় অনেকে বেছে নিচ্ছে এ পেশা। আবার অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে একদল স্বার্থন্বেষী মহল বিভিন্ন জনকে দিয়ে এ কাজে বাধ্য করাচ্ছে। ভিক্ষাবৃত্তি পরিশ্রমহীন সহজ পদ্ধতি যা মর্যাদা হানিকর নিকৃষ্ট জীবনযাত্রা। কিছু আছে যারা প্ররোরচনায় ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নিচ্ছে, এ হার প্রসার ঘটছে ব্যাপক ভাবে। বৃদ্ধদের পাশাপাশি কোমলমতি শিশুদের ভিক্ষার কাজে ব্যবহার করছে কিছু মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্থ বিকৃত মানুষ। মানুষ এবং বয়স ভেদে ভিক্ষা চাওয়ার ধরন ভিন্ন ভিন্ন। যারা নিজের আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে ভিক্ষাকে যদিও কাজ করে অর্থ উপার্জনের সামর্থ্য রয়েছে অনেকের।
দোহার-নবাবগজ্ঞে কয়েক ধরনের ভিক্ষুক দেখা যায়। স্থায়ী ভিক্ষুক, যারা প্রতিবন্ধী। এরা প্রতিদিন নির্দিষ্ট ব্রীজ বা রাস্তার উপর রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে মধ্যরাত পর্যন্ত বসে থেকে টাকা উপার্জন করে। আগে দেখা যেত বয়স্ক পুরুষ-মহিলা ও ছোট ছোট ছেলে মেয়ে ৪/৫ একত্রিত হয়ে বাদ্যযন্ত্র বিহীন বৃন্দগীতি (কোরাস/সমবেত সংগীত) গেয়ে রাস্তায় রাস্তায় বা বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে ভিক্ষা করতো। এ অবস্থা বর্তমানে তেমন চোখে পড়ে না। রয়েছে ভাসমান ভিক্ষুক, অধিকাংশ হিজাব পরিহিতা মহিলা এবং কর্মক্ষম। তারা সুযোগ বুঝে স্থান পরিবর্তন করে। এরা ভাসমান ভিক্ষুক হিসেবে পরিচিত।
আরও রয়েছে অতিথি ভিক্ষুক, এদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরা মূলতো বিশেষ দিন, যেমন ঈদ, রমজান, পূজা বা বড়দিন গুলোকে সামনে রেখে এসে থাকে। অতিথি ভিক্ষুক যারা দিনাজপুর, রংপুর, বরিশাল, ভোলা সহ প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসে। পরিবার পরিজন নিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকে। বিশেষ দিন শেষ হলেই চলে যায় নিজস্ব এলাকায়।
সাজু নামে ভিক্ষুক জানায়, সে প্রায় ৩ বছর যাবত দোহারের ইকরাশি গ্রামে রয়েছে, তার আদি নিবাস ফরিদপুর। দুই সন্তানের জনক, দূর্ঘটনায় এক পা অকেজো। লাঠির সাহায্য চলাফো করে। এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সংসার ভিক্ষার উপার্জন দিয়েই মেয়ে বিয়ে দিয়েছে, ছেলে প্রতিবন্ধি। বাক প্রতিবন্ধি জনৈকা ভিক্ষুকের নাম ঠিকানা জানা যায়নি, আকার ইঙ্গিতে বোঝনোর চেষ্টা করেছে তার হার্টে অসুবিধা আছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.