সাভারে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বিজ্ঞানী এক প্রকৌশলীসহ চারজনের মৃত্যুর পর মারা গেলেন সেই বাসচালকও। রোববার (৫ জুন) সকালে দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসকরা বাসচালককে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই বাস চালকের নাম মারুফ হোসেন মুন্না (২৪)। তিনি চাঁদপুর জেলার শাহারাস্তি থানার বোয়ালিয়া গ্রামের মোস্তাফা কামালের ছেলে। মুন্না মিরপুর দারুস সালামের লালকুটি এলাকায় থাকতেন।
সোমবার (৬ জুন) রাত ১০টার দিকে মুন্নার মৃত্যুর বিষয়টি জানান রাজধানীর শেরে বাংলা থানার এসআই পলাশ চৌধুরী।
তিনি বলেন, রোববার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় একজনের মারা গেছেন বলে খবর পাই। পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল করে মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
এদিকে ওই সড়ক দুর্ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। একাত্তরের অনুসন্ধানে জানা যায় কেন এবং কীভাবে ঘটেছিল দুর্ঘটনাটি।
অনুসন্ধানে ওই বাসের আহত সহকারীর খোঁজ পায় একাত্তর। তার নাম তানভীর। তিনি সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
একাত্তরকে তানভীর জানায়, বাসটি ঝিনাইদহের শৈলকূপা থেকে যাত্রী নিয়ে আসছিল। চালক মুন্না যাত্রা শুরু থেকেই গাড়ি চালাতে চালাতে ঘুমিয়ে পড়ছিলেন। বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হলেও উল্টো তাকে ধমক দেন চালক।
এদিকে পুলিশের দায়ের করা মামলায় গাড়িটির নাম সেইফ লাইন পরিবহন লেখা হলেও তানভীরের ভাষ্যমতে এই গাড়িটি নাম অন্য।
তিনি জানান, দুর্ঘটনা ঘটানো বাসটি নিউ গ্রিন এক্সপ্রেসের। গাড়ির পেছনে গ্লাস পরিবর্তন করা হয় নাই। সামনের গ্লাস দুর্ঘটনায় ভেঙে যায়। এই গ্লাসে নিউ গ্রিন এক্সপ্রেস লেখা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোববার (৫ জুন) সাভারের বলিয়ারপুরে বাসের ধাক্কায় পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের স্টাফ বাসের চালক, দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও আরেক প্রকৌশলী নিহত হন।
এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় ঘাতক বাসের অজ্ঞাত চালকের বিরুদ্ধে হাইওয়ে থানার এএস আই ফজলুল হক বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ঘাতক বাসের চালক মারুফ।