রাজধানীর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের পোশাক থেকে কমিশন বাণিজ্য করছেন অধ্যক্ষসহ কয়েকজন শিক্ষকের একটি চক্র।
এই চক্রের বিরুদ্ধেই করোনা মহামারীকালে সময় শিক্ষার্থী ছাত্র ভর্তি করে ১১ কোটি টাকা তহবিল তসরুপের প্রমাণও মিলেছে। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ।
ধানমন্ডির সেন্ট্রাল রোডের আইডিয়াল কলেজে ভর্তির আগেই শিক্ষার্থীদের দুই সেট কলেজ ড্রেসের কাপড় ও জুতার জন্য দিতে হয় চার হাজার টাকা।
কাপড় কেনার টাকা দেয়ার পরই মেলে কলেজের ভর্তি ফরম। শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য যদি একটু ভাল হয়, তাহলে পোশাক বাবদ দিতে হয় আরও কমপক্ষে চারশ’ টাকা।
কলেজের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীর কাছে প্রতি বছর পোশাকের কাপড় বাবদ এক কোটি ২০ লাখ টাকা আদায় করেন অধ্যক্ষের ডানহাত বলে পরিচিত শিক্ষক তৌফিক আজিজ চৌধুরী।
কাপড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বছরে সাত থেকে আট লাখ টাকার কমিশন পাওয়ার কথা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন একাত্তর টিভির কাছে।
অথচ কাপড়ের টাকা নেয়া হয় না বলে দাবি করেছেন আইডেল কলেজের অধ্যক্ষ ও ভুয়া পিএইচডিধারী জসিম উদ্দীন আহমেদ।
করোনার সময় নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করার পরও গেল দুই বছরে কলেজের ১১ কোটি টাকার সঞ্চয় ভেঙ্গে ইচ্ছেমতো খরচ করেছেন অধ্যক্ষ।
শিক্ষার্থী ভর্তির কোটি কোটি টাকা সময় মতো ব্যাংকে জমা না দেয়াসহ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে।
অধ্যক্ষ তার নিজের নামে কলেজে ডাচ বাংলার এজেন্ট ব্যাংকের শাখা খুলেছেন। আইনত একক নামে এমন একাউন্ট খোলা অবৈধ।