লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে বিক্ষিপ্ত ঘটনায় ভোট শেষ হয়েছে। এর মধ্যে পার্বতীনগরের বিষ্ণুনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সহকারী অধ্যাপক শফিক উল্যাহকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে প্রত্যাহার করা হয়েছে। চন্দ্রগঞ্জের লতিফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ভুয়া পুলিশ পরিচয়দানকারী এক ব্যক্তিকে ও দত্তপাড়া ইউনিয়ন থেকে শতাধিক ককটেল বোমাসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: ইমরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রিজাইডিং অফিসারসহ আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান বলে ইউএনও জানিয়েছেন।
উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের মধ্য হামছাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করেন প্রার্থী এমরান হোসেন নান্নুর বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা বিনু। এতে বাধা দেওয়ায় বিনু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নজরুল ইসলামের (আনারস) সমর্থক জেলা পরিষদের সদস্য আরিফুর রহমানকে লাথি মারেন। এ নিয়ে কেন্দ্র এলাকায় হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
চন্দ্রগঞ্জের কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে নৌকার প্রার্থী আইনুল আহমেদ তানভীরের গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে। মান্দারী ইউনিয়নে জাল ভোট দেওয়ার সময় তিনজনকে আটক করে প্রশাসন। পশ্চিম মান্দারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকার প্রার্থী মিজানুর রহিম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রুবেল পাটওয়ারীর লোকজনের মধ্যে ধাওয়াধাওয়ির ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বোমা ফাটায় বিক্ষুব্ধরা। একপর্যায়ে বিদ্যালয়ের জানালা ভেঙে ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়।
এদিকে চরশাহী, চন্দ্রগঞ্জ ও দত্তপাড়া ইউনিয়নে ভোটারদের হাত থেকে ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে নৌকায় সিল মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাজিরপাড়া, ভবানীগঞ্জ ও উত্তর জয়পুর ইউনিয়নে ইভিএমে ভোটারদের আঙুলের ছাপ দেওয়ার পরপরই নৌকার বোতাম টিপে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর।
অন্যদিকে সদর উপজেলায় নির্বাচন হলেও বহিরাগত জেলার রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে নৌকার পক্ষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থান নেন। হামছাদী ইউনিয়নের মধ্য হামছাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট অবস্থান নেন। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করেন ভোটারদের।
