ভোগান্তিতে পশ্চিম বাকলিয়ার ২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, ময়লা আবর্জনা ও জলাবদ্ধতা মূল কারণ
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে চকবাজার পশ্চিম বাকলিয়ার ১৭ নং ওয়ার্ডের সবুজবাগ এলাকায় অবস্থিত বাকলিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় একটি।
১৯৭৩ইং সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামের স্বনামধন্য অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত বরাবরই ভালো রেজাল্ট করে থাকে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার মান ধরে রাখলেও পরিবেশগত কারনে কমে আসছে শিক্ষার্থী সংখ্যা। পাশেই রয়েছে বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উক্ত প্রতিষ্ঠান গুলোর ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ভালো হলেও বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সড়কে শুষ্ক, বর্ষা মৌসুমে হাল্কা, ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সড়ক, শ্রেনী কক্ষ ও খেলার মাঠ প্রায় সময় পানিতে নিমজ্জিত থাকে, সেই সাথে বিদ্যালয়ের সামনে আশেপাশের বাসা, বাড়ির ময়লা আবর্জনা ফেলার ফলে দূরগন্ধ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত শারীরিক, মানুষিক সমস্যায় ভুগতে হয়। অসুস্থ হয়ে পড়ে অনেক শিক্ষার্থী।
এই সব বিষয়ে বিদ্যালয় প্রধান, পরিচালনা কমিটি, স্থানীয় কাউন্সিলর ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
তা নাহলে আগামীতে অভিভাবকরা এই পরিবেশে ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাবেন না, যদি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও সড়ক সংস্কারের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়া না হয়। অভিভাবকরা আগামীতে ছেলে মেয়েদের অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ব্যবস্থা নিবেন। কারন বিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে দীর্ঘদিন জমে থাকা ময়লা আবর্জনার স্তূপের দূরগন্ধের কারনে বাচ্চারা বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে কিংবা বাসায় ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
অপরদিকে চাক্তাই ডাইমেনশন খালের পাশে অবস্থিত নগরীর ঐতিহ্যবাহী আর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় চট্টগ্রামে শনিবার মধ্যরাত থেকে একাধারে বৃষ্টির কারণে বিদ্যালয়ের নিচতলার পাঠদানের শ্রেনী কক্ষ ও খেলার মাঠ সম্পুর্ন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসছে। নগরীর এই ২ টি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশেপাশের পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়তই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে।
এই বিষয়ে বাকলিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মাঈনউদ্দিন জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি স্থানীয় কাউন্সিলর, চসিক ও চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দীর্ঘদিন জানিয়ে আসার পরেও এই সব সমস্যার কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.