বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, হলুদ সাংবাদিকতা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কাজেই বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা নিশ্চিত করতে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধের কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। সংবাদে সমালোচনা থাকবে, তবে সেটা গঠনমূলক হতে হবে। সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। এ পেশায় আসতে হলে বেশ পড়াশোনা করতে হয়।
তিনি আরো বলেন, হলুদ সাংবাদিকতা নিমূর্ল করতে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। মূলধারার সাংবাদিকদের সংবাদ করতে গিয়ে যাতে অসুবিধায় পরতে না হয় সেজন্য বর্তমানে সাংবাদিক হওয়ার আবেদন করলে তাকে ন্যূনতম স্নাতক পাশ হতে হবে। তাছাড়া যারা স্নাতক পাশ করেনি কিন্তু ৫-১০ বছর ধরে কাজ করছে তাদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম শিথিলযোগ্য করা হয়েছে, তবে সেক্ষেত্রে তাদের কাজের শুরুর যোগদান পত্র উপস্থাপিত করতে হবে। এছাড়াও আগামীতে সাংবাদিকতার পেশায় কেউ আসতে চাইলে তাকে পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে, এমন সম্ভাবনার কথাও তিনি সেখানে উল্লেখ করেন।
মঙ্গলবার ১১ জুন নগরীর সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় “গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় সাংবাদিকতার নীতিমালা এবং প্রেস কাউন্সিল প্রণীত আচরণবিধি এবং প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯৭৪-এর আলোকে সাংবাদিকদের করণীয় বিষয়ে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো: নিজামুল হক নাসিম ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব (অতিরিক্ত সচিব) শ্যামল চন্দ্র কর্মকার রিসোর্স পারসন হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: সাদি উর রহিম জাদিদ’র সভাপতিত্বে স্বগত বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম জেলা তথ্য অফিস পরিচালক মো: সাঈদ হাসান। এছাড়া চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক তাদের বক্তব্য পেশ করেন।
এ কর্মশালায় চট্টগ্রাম জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। পরে প্রধান অতিথি তাঁদের সবার হাতে সনদপত্র তুলে দেন।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.