র্যাব-৭, চট্টগ্রাম সূত্রে জানা যায়, ৫ জুন বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি যাত্রীবাহী বাসযোগে অবৈধ মাদকদ্রব্য (গাঁজা) নিয়ে চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার সকাল ০৮:৫০ র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম নগরীর কর্ণফুলী থানাধীন শাহ আমানত ব্রীজ সংলগ্ন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপর একটি অস্থায়ী চেক পোস্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশি শুরু করে।
এ সময় র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা সন্দেহজনক একটি আন্ত:নগর বাসকে থামানোর সংকেত দিলে বাস থেকে নেমে সুকৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা আসামি ১। ইমতিয়াজ উদ্দিন ইমন (২৬), পিতা-মোসলেম উদ্দিন, সাং-হাইদগাঁও, থানা-পটিয়া, ২। বিউটি বেগম (৩৫), স্বামী-মোঃ হোসেন, সাং-বাস্তুহারা, থানা-বাকলিয়া, উভয় জেলা-চট্টগ্রাম এবং ৩। হামিদা (৩৫), স্বামী-মোঃ সালাম, সাং-রাজার চরা, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার’দের আটক করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করে তাদের হেফাজতে থাকা ট্রাভেল ব্যাগে বিশেষ কৌশলে রক্ষিত ০২টি প্লাস্টিকের বস্তা হতে মোট ২৯ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়। তারা দীর্ঘদিন যাবত বিশেষ কৌশলে সীমান্তবর্তী এলাকা হতে স্বল্প মূল্যে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম জেলা ও কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করে আসছিল।
একই দিনে ২৯ এপ্রিল ২০২৩ সালের চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় প্রধান পলাতক আসামি মোঃ মহসিন’কে নগরীর ইপিজেড এলাকার আকমল আলী পকেট গেইট এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।