‘প্রেসক্লাবে ঢুকতে দেওয়া হবে না ফ্যাসিস্ট দোসরদের’
চট্টগ্রামে সাংবাদিক, ছাত্র ও জনতার এক সমাবেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, কোনো ফ্যাসিস্ট দোসরকে আর প্রেসক্লাবে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সাংবাদিকতার নামে ফ্যাসিস্টদের দখলদারি আর সহ্য করা হবে না বলেও উল্লেখ করা হয়।
শনিবার (২ আগস্ট, ২০২৫) বিকেলে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান এই হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “প্রেসক্লাব কোনো বিশেষ দলের অঙ্গসংগঠনের অফিস নয়, এটা সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠান।” তিনি আরও বলেন, “ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে পাওয়া বিপ্লবের চেতনাকে অবমাননা করে কেউ এখানে প্রবেশ করতে পারবে না।”
সালেহ নোমান অভিযোগ করেন, প্রশাসনের ব্যর্থতার সুযোগে কিছু ফ্যাসিস্ট চক্র সাংবাদিকতার কার্ড ব্যবহার করে আবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে এই ছদ্মবেশী ফ্যাসিস্টরা সাংবাদিকতার নাম ব্যবহার করে ব্যবসা ও টেন্ডারবাজি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
সমাবেশে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিল্পী বলেন, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতা যে পরিবর্তন এনেছে, এক বছর না যেতেই আবার রাজপথে নামতে হচ্ছে। তিনি জেলা প্রশাসককে উদ্দেশ্য করে বলেন, এমন কোনো সিদ্ধান্ত না নিতে, যাতে ফ্যাসিস্ট দোসররা আবার প্রেসক্লাবে প্রবেশের সুযোগ পায়। একইসঙ্গে তিনি পুলিশ কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গোপনে যারা মিটিং-মিছিল করছে, তাদের বিষয়ে সব তথ্য তাদের কাছে আছে, অথচ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক রিদুয়ান সিদ্দিকী, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী সিয়াম ইলাহি, আবদুর রহমান, সাইফুর রুদ্র, তানিয়া আক্তার ও নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এস কে খোদা তোতন, আলাউদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা এন মো. রিমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মনির হোসেন, ছাত্রদল নেতা মো. তৌহিদুর রহমান প্রমুখ।