আনোয়ারা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সরঞ্জামাদিসহ ১ অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেফতার
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আনোয়ারা থানা পুলিশের অভিযানে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ, অস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ ও নগদ টাকাসহ একজন আটক।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু বিপিএম (বার)-এর নির্দেশনায় জেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও নগদ টাকাসহ এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে আনোয়ারা থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আনোয়ারা থানা পুলিশ জানতে পারে যে, কতিপয় অস্ত্র ব্যবসায়ী আনোয়ারা থানাধীন বরুমচড়া এলাকায় মো. আব্দুল মজিদের বাড়িতে অস্ত্র কেনাবেচার জন্য অবস্থান করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনির হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটের সময় আব্দুল মজিদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানের সময় তার বসতঘর সংলগ্ন পুকুরের পাকা ঘাটলার পাশে মাটি খুঁড়ে লুকিয়ে রাখা ১টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ১টি কাঠের বাটযুক্ত দেশীয় তৈরি এলজি এবং ৮ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্ত মো. আব্দুল মজিদকে (৫২), পিতা-মৃত হাজী মুসলিম আহমদ চৌধুরী, সাং-বরুমচড়া, ১নং ওয়ার্ড, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম, ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আব্দুল মজিদ জানান, তিনি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত ছিলেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীর ব্যবহৃত স্মার্টফোন পর্যালোচনা করে বিভিন্ন মডেলের দেশি-বিদেশী অস্ত্রের ছবি ও ভিডিও পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তার বসতঘর তল্লাশি করে অস্ত্র তৈরির ছোট-বড় ১১টি যন্ত্রাংশ, ১টি অস্ত্র রাখার স্টিলের বক্স, ১টি স্মার্টফোন এবং অস্ত্র কেনাবেচার নগদ ৩,৬৫,০০০/- (তিন লক্ষ পঁয়ষট্টি হাজার) টাকা উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, জানুয়ারি ২০২৫ থেকে আজ পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার ১৭টি থানায় বিভিন্ন অভিযানে ৬৯টি দেশি-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র, ২৩০টি অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র এবং ২০০টি গুলি ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এই সময়ে অস্ত্র আইনে দায়েরকৃত ৫২টি মামলায় মোট ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যা জেলা পুলিশের অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের সফলতার ইঙ্গিত দেয়।