সিএমপি’র অভিযানে ৭ মাস বয়সী শিশু উদ্ধার, অপহরণকারী চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার
অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কক্সবাজারের গহিন পাহাড়ি এলাকা থেকে ভিকটিম উদ্ধার
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭ মাস বয়সী শিশু **অজিহা আহমেদ নূরকে** উদ্ধার করেছে। এ সময় অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ১৫ জুলাই (মঙ্গলবার) সকালে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন শান্তিনগর এলাকা থেকে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছিল, যা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
শিশু অজিহা তার মায়ের সঙ্গে শান্তিনগর এলাকার কবরস্থান সংলগ্ন বাবুল মিস্ত্রির বাড়িতে বসবাস করত। অপহরণের সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বায়েজিদ বোস্তামী থানার অফিসার ইনচার্জ **মোঃ কামরুজ্জামান** অপারেশন অফিসার এসআই (নি.) **নুর ইসলামের** নেতৃত্বে একটি চৌকস দল গঠন করেন।
উক্ত দল গোপন সূত্রের ভিত্তিতে বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। একপর্যায়ে জানতে পারে, সুমাইয়া নামের এক মেয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করে কক্সবাজার জেলার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই সংবাদ পেয়ে অভিযানিক দল ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে অপহরণকারী সুমাইয়া বারবার তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করতে থাকে। একপর্যায়ে অপহরণকারী সুমাইয়া ভিকটিমকে নিয়ে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানাধীন উত্তর বরইতলী এলাকায় আত্মগোপন করছে বলে খবর পায় পুলিশ। সেখানে অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারী সুমাইয়া ও জনৈক ব্যক্তি ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে নিয়ে অন্যত্রে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে, আরও তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানিক দল জানতে পারে যে, অপহরণকারীরা কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন গর্জনিয়া ইউনিয়নের মায়ানমার সীমান্তঘেঁষা গহীন পাহাড়ি এলাকা দক্ষিণ মৌলভীকাটা গ্রামে অবস্থান করছে। এই সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে অভিযানিক দল রামু থানা পুলিশের সহায়তায় দক্ষিণ মৌলভীকাটা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
১৬ জুলাই (বুধবার) ভোর ৪:৩০ মিনিটের সময় জনৈক জালাল আহমদের বাড়ি থেকে ভিকটিমকে অপহরণকারী **১) সুমাইয়া আক্তার (১৯)** (পিতা- আব্দুল মুজিব, মাতা- রহিমা খাতুন, সাং-ভালুকখাইয়া, গর্জানিয়া, থানা- নাইক্ষ্যংছড়ি, জেলা-বান্দরবান) এবং **২) মো. নুরুল আলম (৪০)** (পিতা- মৃত জালাল আহামেদ, মাতা- ছফুরা খাতুন, সাং- দক্ষিণ মৌলভী কাটা, পোঃ- চাকঢালা, থানা-রামু, জেলা-কক্সবাজার) -এর হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে অপহরণ করেছে বলে স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।