সিএমপি’র বাকলিয়া থানা পুলিশের অভিযানে চোরাই সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধারসহ ১ আসামি গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বাকলিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে চোরাই সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও শাড়িসহ এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। গত ৮ জুলাই ২৫ তারিখে দায়েরকৃত একটি চুরির মামলার তদন্তে নেমে ঘটনার মাত্র ৭ ঘণ্টার মধ্যে এই সাফল্য অর্জন করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে ১৩টি মামলা রয়েছে।
গত **০৭/০৭/২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ** তারিখে মামলার বাদীনি স্বপ্না রানী ধর (৫৮) তার ছোট ভাইয়ের মেয়ের বিবাহ অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য আনোয়ারা থেকে সিএনজি যোগে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন মুরাদপুরের ইকবাল কনভেনশন হলের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। ঐ দিন বিকাল অনুমান ০৫:১০ মিনিটের সময় বাকলিয়া থানাধীন শহীদ বশরুজ্জামান গোলচত্বরের পশ্চিম পাশে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে সিএনজি থেকে নেমে তার সাথে থাকা কাপড়ের বড় ব্যাগটি রাস্তার উপর রেখে মোবাইলে কথা বলছিলেন। কথা বলা শেষে দেখেন যে, তার ব্যাগটি যথাস্থানে নেই।
বাদীনির ব্যাগের ভিতরে ছিল:
- স্বর্ণের মোড়ানো ২টি শাঁখা (১ ভরি, মূল্য আনুমানিক ১,৮০,০০০/- টাকা)
- স্বর্ণের হাতের পলা ২টি (১ ভরি, মূল্য আনুমানিক ১,৮০,০০০/- টাকা)
- আয়স্থী চুড়ি ১টি (১০ আনা, মূল্য আনুমানিক ১,১০,০০০/- টাকা)
- স্বর্ণের আংটি ১টি (৫ আনা, মূল্য আনুমানিক ৫৫,০০০/- টাকা)
- স্বর্ণের গলার বল মালাযুক্ত চেইন ১টি (১.৫ ভরি, মূল্য আনুমানিক ২,৭০,০০০/- টাকা)
- লকেটসহ ১টি চেইন (২.৩ ভরি, মূল্য আনুমানিক ৪,১৪,০০০/- টাকা)
- ১টি রেডমি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন (সিম সংযুক্ত, মূল্য আনুমানিক ২০,০০০/- টাকা)
- নগদ ৩,৫০০/- (তিন হাজার পাঁচশত) টাকা
সর্বমোট **১২,৩২,৫০০/- (বারো লক্ষ বত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকার** মালামাল চুরি হয়ে যায়। বাদীনির ধারণা, অজ্ঞাতনামা চোর/চোরেরা কৌশলে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ব্যাগটি চুরি করে নিয়ে যায়। বাদীনি সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ঘটনার বিষয়ে বাকলিয়া থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন, যার প্রেক্ষিতে বাকলিয়া থানার মামলা নং-১২, তারিখ-০৮/৭/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড রুজু হয়।
পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) **মোবারক হোসেন** সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বাকলিয়া থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। ঘটনার **সাত ঘণ্টার মধ্যে** মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামি **নুর হোসেন কালুকে (৩১)** গ্রেপ্তার করা হয়। সে বাঁশখালী উপজেলার জলদি গ্রামের মৃত ফতেহ মাহমুদের ছেলে এবং বর্তমানে বাকলিয়ার হাফেজ নগর এলাকার লিজা কলোনীতে থাকে।
পরবর্তীতে নুর হোসেন কালুর স্বীকারোক্তি ও দেখানোমতে এবং বাদীনির সনাক্তমতে আসামির বাসা থেকে চুরি যাওয়া সমস্ত স্বর্ণালংকার (মোট সাড়ে সাত ভরি), রেডমি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন এবং ব্যাগে থাকা শাড়িসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত আসামি নুর হোসেন কালুর (৩১) বিরুদ্ধে সিএমপি’র বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, ডাকাতির প্রস্তুতি, চুরি ও অস্ত্র আইনে মোট **১৩টি মামলা** রয়েছে।