দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৫ জন প্রবীণ নেতাক আজীবন সম্মাননা প্রদান করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ।
শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জমকালো ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-বিজয়নগরে টানা ৪র্থ বারের এমপি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি শুরু হলে এতে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সম্মাননাপ্রাপ্ত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা ও কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি এড. মকবুল হাসান তালুকদার।
এতে সম্মাননাপ্রাপ্ত নেতারা হলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউল্লাহ, মুসলিম মিয়া, আবুল কালাম ভূঞা, এড.হামিদুর রহমান, নিয়াজ মুহাম্মদ খান, আলী আকবর, আবদুল মতিন দারু,এড.মোকবুল হাসন তালুকদার, ডা. রাফি উদ্দিন আহেমদ, এড.আজিজুর রহমান, কাজী হারিছুর রহমান, শেখ বোরহান উদ্দিন, গোলাম ইসহাক, হিবজুল বারী,আবদুল হাই মাস্টার, কার্তিক চন্দ্র দাস, ফুল মিয়া ভূঞা, মিসেস মিনারা আলম, মিসেস মমতাজ বাশার, মিসেস রেহনা বেগম রানী, অসীম কুমার পাল, নজির শাহ, মফিজ উদ্দিন, মো.আবদুর রহিম খান, হাজি মুজিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সত্তোরার্ধ নেতাদের ফুলের তোড়া, মেডেল, ক্রেস্ট ও শাল উপহার প্রদান করা হয়।
সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি হাজি মুজিবুর রহমান বলেন, ৭৫ এর পর আমার বাড়িঘর পুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজ আজীবন সম্মাননা পেয়ে মনে হচ্ছে তখনকার বাড়ি পোঁড়ানো আজ সম্মান আর মর্যাদা এনে দিয়েছে।
নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ডা. রাফি উদ্দিন বলেন, জীবনভর আওয়ামী লীগ করে বয়সের শেষ সময় এসে যে সম্মান জেলা আওয়ামী লীগ দেখালো তা আমৃত্যু প্রেরণা যোগাবে।
এসময় প্রধান অতিথি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, জেলা আওয়ামী লীগ ২৫ জন নেতাকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করে তরুণ প্রজন্মের কাছে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তারা বুঝতে পারবে দলের প্রতি সবসময় অনুগত থাকলে ,অবিচল আস্থা রাখলে, দলের কাজ করলে একসময় না একসময় সম্মান আসে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। আওয়ামী লীগের আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। আওয়ামী লীগের ইতিহাস লড়াই-সংগ্রাম আর এগিয়ে চলার ইতিহাস। আওয়ামী লীগকে বারবার ধ্বংস করার চেষ্টা হলেও আওয়ামী লীগ পুনরায় ফিনিক্স পানির মতো আকাশে ডানা মেলে উড়ে দেখিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি। স্মার্ট বাংলাদেশও প্রতিষ্ঠা করবে আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলন, আওয়ামী লীগ অগ্রসর চিন্তার আরেক নাম। তাই যতদিন বৈষম্যহীন সমাজ, ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন আওয়ামী লীগের সংগ্রামশীলতা চলবে।
তিনি আরও বলেন, প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প কোন রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয়, তেমনি আওয়ামী লীগের বিকল্প কোন রাজনৈতিক শক্তিও নয়।