ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বিজয়নগরে ছাত্রদলের সদস্যের হাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা রিফাতের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় নেতা কাজী রিফাতের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রদলের বিজয়নগর উপজেলা শাখার এক সদস্য মো. মানিক খন্দকার ধারালো অস্ত্র নিয়ে এই হামলা চালিয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। রিফাতের একটি ফেসবুক পোস্টকে এই হামলার মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

বিজয়নগরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সক্রিয় নেতা কাজী রিফাতের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্রদলের বিজয়নগর উপজেলা শাখার এক সদস্য মো: মানিক খন্দকার ধারালো অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়। হামলার পেছনে রিফাতের একটি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট—যেখানে তিনি এনসিপির এক নেতাকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছিলেন—মূল কারণ বলে জানা গেছে।

মাত্র একটি শুভেচ্ছা বার্তাকে কেন্দ্র করে এমন প্রাণঘাতী হামলায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্থানীয় শিক্ষার্থীরা। মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর এমন হামলাকে গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করে, ছাত্রসমাজ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

এ বিষয়ে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ বলেন, “সামনে নির্বাচন আসছে, এর প্রেক্ষিতে বিএনপি মনে করতো তাদের কোনো প্রতিপক্ষ নেই। এনসিপির উত্থানে তারা ভীত হয়ে এমন পরিকল্পিত হামলার আশ্রয় নিয়েছে। তবে এই হুমকি ধমকি আমাদের দমাতে পারবে না। কারণ আমরা শেখ হাসিনার সময়েও জীবন বাজি লড়াই করে গিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা সমাজের সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবো। তারা মনে করছে হামলা করে আমাদের থামিয়ে দেবে, কিন্তু এটা তাদের বড় ভুল।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতা তাজুল ইসলামআবু বকর এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “যাদের রক্তের উপর দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে, আজ তাদের উত্তরসূরিদের দমন করার চেষ্টা চলছে। কাজী রিফাত, যিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও আপোষ করেননি, আজ তাকেই ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের হাতে হামলার শিকার হতে হলো। এটা শুধু একজন রিফাতের উপর নয়, এটি পুরো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপর হামলা।”

তারা আরও বলেন, “আমরা এই বর্বর, কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা বিচার চাই এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। আমরা জানিয়ে দিতে চাই—রক্তের উত্তরসূরিরা মাথা নত করে না।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Author

মো: মেহেদী হাসান, ব্রাহ্মনবাড়িয়া প্রতিনিধি

পেশায় একজন সাংবাদিক। তিনি ৩০ জুন থেকে মিশন ৯০ নিউজে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker