ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে শতাধিক ব্যক্তি আহত
পবিত্র ঈদুল আজহার দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার সময় অসাবধানতাবশত শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পবিত্র ঈদুল আজহার দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার সময় অসাবধানতাবশত শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। শনিবার (৭ জুন) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসব আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ধারালো ছুরি, দা কিংবা চাপাতি ব্যবহারে অদক্ষ ছিলেন। ফলে হাত, পা, আঙুল ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কেটে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তবে আহতদের কারও অবস্থাই গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শুভ্র রায়। তিনি বলেন:
“সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন রোগী হাসপাতালে এসেছেন। সবাই কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
আহতদের মধ্যে রয়েছেন ফুলবাড়িয়া এলাকার পাবেল মিয়া (২৭), ঘাটুরা গ্রামের সেলিম মিয়া (৪৫ ও ২০ বছর বয়সী দু’জন), চাঁনপুরের রিকশাচালক আরস মিয়া (২৬), জহিরুল হক (৫০), মো. মিলন (২৩), আজিজুল (২১), শাকিব (২৮), জীবন (৪০), সুমন (২৬), রামরাইলের আলামিন (২৩), আক্কাস (৪৫), উবায়দুল (৩৩), রহমত আলী (৫৫), আবু সুফিয়ান (১৫), জাহার মোল্লা (৫২), মাইনুল (২৫), মোরম আলী (৩৫), আনিস মিয়া (৪২), শিপন (২০), আরিফ (৩৪) প্রমুখ।
আহত পাবেল মিয়া জানান, পায়ের নিচে রাখা মাংস কাটার সময় অসতর্কভাবে পায়ে ছুরির কোপ পড়ে। তার পায়ে দুটি সেলাই দিতে হয়। আরস মিয়া বলেন, “কোরবানির মাংস কাটার সময় হাত ফসকে ছুরি লেগে যায়। হাতে তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে।” সেলিম মিয়া বলেন, “অভিজ্ঞতা না থাকায় অসাবধানতাবশত ছুরি হাতে লেগে যায় এবং প্রচণ্ড রক্তপাত হয়।”
জেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় কোরবানির সময় মৌসুমি কসাই কিংবা পরিবারের সদস্যরা যখন অভিজ্ঞতা ছাড়াই মাংস কাটার কাজে অংশ নেন, তখন এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানানো হয়।