ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আড়ালে মানবপাচারে জড়িত মো. বেল্লাল হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭। গ্রেপ্তার বেল্লাল খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি থানার লেনুয়া এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) লক্ষ্মীপুরের সদর থানার সানকিভাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ২৪ জুন ভারত থেকে পালিয়ে আসা এক নারী বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ঝুমু নামে এক আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেখানে তিনি মানবপাচার সিন্ডিকেটের প্রধান বেল্লালের নাম উল্লেখ করেন। এরপর র্যাব অভিযানে নেমে বেল্লালকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব জানায়, বেল্লাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নাচ-গানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ সুবাদে আঞ্চলিক নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এছাড়াও গার্মেন্টসে কর্মরত বিভিন্ন মেয়েদের নৃত্যদলে নেওয়ার কথা বলে তাদের সঙ্গে তিনি সখ্যতা গড়ে তোলেন। এ সুযোগে নারীদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বিউটি পার্লার এবং বিভিন্ন গার্মেন্টসে উচ্চ বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তিনি ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। পরে তাদেরকে পাসপোর্ট ছাড়া সীমান্ত পার করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে নিয়ে বিভিন্ন পতিতালয়ে বিক্রি করে দেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উল আলম বলেন, বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মানবপাচারে জড়িত দুই নারী গ্রেপ্তারের পর বেল্লাল এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। তিনি যশোর জেলার সীমান্ত এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে সর্বশেষ লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর সদর থানাধীন সানকিভাঙ্গা এলাকায় অবস্থান করছিলেন। সংবাদ পেয়ে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.