পটুয়াখালীর গলাচিপায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে হত্যার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ জুন) বিকেলে নিহত মিমের মা রেখা (কনা) বেগম বাদী হয়ে গ্রেপ্তার দুইজনসহ আরও অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে গলাচিপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই পুলিশ মামলার প্রধান অভিযুক্ত মো. কালাম গাজী (৩৫) ও তার স্ত্রী রানী বেগমকে (৩০) গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সুহরী দ্বিতীয় খণ্ড গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রোববার (২৬ জুন) রাত দশটার দিকে মিমকে প্রতিবেশী রানী বেগম ডেকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় মিমের মা তার বাবার বাড়িতে ছিলেন এবং তার বাবা ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। এরপর থেকে মিমকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর বুধবার (২৯ জুন) সকালে স্থানীয়রা বাড়ির পশ্চিম পাশে ডোবায় তার মরদেহ ও সড়কের পূর্ব পাশে তার রক্তমাখা জামাকাপড় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, স্কুল ছাত্রী মিম নিখোঁজের ঘটনায় বুধবার বিকেলে মিমের মা রেখা বেগম বাদী হয়ে গ্রেপ্তার দুইজন ও অজ্ঞাতসহ মোট পাঁচজনকে আসামি করে গলাচিপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং ওই দিন রাতেই পুলিশ মামলার প্রধান অভিযুক্ত মো. কালাম গাজী ও তার স্ত্রী রানী বেগমকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: অর্ধকোটি টাকার যন্ত্রাংশসহ ১২ গাড়িচোর গ্রেপ্তার
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আদালত আগামী রোববার রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।
উল্লেখ্য, সুহরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিম রোববার রাতে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের তিনদিন পর বুধবার সকাল দশটায় উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের মুশুরীকাঠী স্লুইজগেট সংলগ্ন এলাকার একটি ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।