পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নের উত্তর মমিনপুর গ্রামে ১০ মিনিটের ঝড়ে একটি মাদ্রাসাসহ প্রায় ১৫টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। কিছু গাছপালার ডালপালা ভেঙে রাস্তায় পড়ে যোগাযোগ ব্যাহত হয়। ট্রান্সমিটারসহ বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রয়েছে।
এদিকে হঠাৎ এই ঝড়ে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বর্ষার মধ্যে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, রোববার (১৯ জুন) দুপুর দুইটার দিকে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হঠাৎ একটি ঝড়ো হাওয়া উত্তর মমিনপুর গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যায়।
১০ মিনিটের ওই ঝড়ে মোস্তফা বিশ্বাস, খালেক বিশ্বাস, মোতালেব বিশ্বাস, লিটন বিশ্বাস, গোলাম রাব্বী, নিজাম উদ্দিন বিশ্বাস, খবির উদ্দিন বিশ্বাস, কবির বিশ্বাস, ফরিদ দফাদার, ফিরোজ সাজ্জাল, বশির সিকদার এবং শহিদুল ইসলাম সিকদারসহ ১৫টি পরিবারের ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
এরা এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। এছাড়া ঝড়ে মোমেলা জাহান হাফেজী মাদ্রাসার চল উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
ঝড়ে বিদ্যুতের ট্রান্সমিটারসহ ৮ খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বেশকিছু গাছপালার ডাল ভেঙে পড়ে গ্রামটি যোগাযোগ ব্যাহত হয়।
কেশবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সালাউদ্দিন পিকু জানান, দশটার মত ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়া ও গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-আমিন জানান, খবর পেয়ে তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রকৌশলীদের সেখানে পাঠিয়েছেন। বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।