আজকের সুস্থ শিশু আগামী প্রজন্মকে নেতৃত্বে আনবে মেরুকরন, আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ, সাইন্স, ডক্টর। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সজাগ দৃষ্টিভঙ্গি সকলের দায়িত্ব। যার যার অবস্থান থেকে সুন্দর আগামী গড়তে সদেচ্ছা, আত্নপ্রত্যয়ী, অগাধ বিশ্বাস পুঁজি করে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়।
এমন বিশ্বাস ও প্রত্যয় নিয়ে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার যশিহাটী গ্রামের এ্যাডভোকেট জামাল উদ্দিনের মেয়ে সোমাইয়া জেবিন মাত্র ১৬’শ টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করে অনলাইন ভিত্তিক বেবি ফুড ও কেক সরবরাহের ব্যবসা। যা অল্পদিনের মধ্যে ব্যাপক সাঁড়া পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করার পর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। করোণাকালীন সময়ে বাসায় বসে সময় না কাটায় ঘরে বসে নিজের তৈরি রেডি খিচুড়ি মিক্স, রেডি ফিরনি মিক্স, মিক্সড বাদাম গুড়া, খেজুরের চিনি তৈরি করেন।
পরবর্তীতে (Jabin’s Emporium ) নামে একটি অনলাইন ফেসবুক পেজ চালু করেন। তার তৈরিকৃত পণ্য বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়মিত তার পেইজে আপলোড করতে থাকেন। এতে গ্রাহকের সাঁড়া পেতে থাকে প্রতিনিয়ত। প্রথমে তার আশেপাশে ওইসব পণ্যগুলো সরবরাহ করতে থাকে। এরপর, তার পণ্যের প্রসার পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিদিন অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ওইসব পণ্য। বর্তমানে ঢাকার মিরপুরে বসে জেবিন চালিয়ে যাচ্ছেন তার অনলাইন ব্যবসা। দিন দিন তার ব্যবসার প্রসার ঘটছে। যোগ হচ্ছে নতুন নতুন পণ্য।
নারী উদ্যোক্তা জেবিন জানান, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতাম। ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে অফিস করা সমস্যা হয়ে পড়েছিল। একসময় চাকরি ছেড়ে দেই। এর মধ্যে দেশে দেখা দিল বৈশ্বিক করোণার প্রার্দূভাব, হয়ে পড়লাম ঘরবন্দী। মনে প্রবল ইচ্ছে জাগল একজন উদ্যোক্তা হয়ে আমার পরিচিতির প্রসার ঘটাতে। নিজের বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য ঘরে বসে রেডি খিচুড়ি মিক্স, রেডি ফিরনি মিক্স, মিক্সড বাদাম গুড়া, খেজুরের চিনি, সেরেলাক্স ও কেক তৈরি করতাম। এক সময় মাথায় আসল এসব পণ্য বিক্রি করা যায় কিনা। এরপর একটি অনলাইন পেজ খুলে বিক্রির উদ্দেশ্যে স্বল্প পরিসরে মাত্র ১৬’শ টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করি।
এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে সোমাইয়া জেবিন আই.এল.ও (ILO) এর তত্ত্বাবধানে ‘ফুড সেফটি ও হাইজিন’ সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন যাতে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নতুন প্রোডাক্টগুলো বাজারে চাহিদা জোগাতে পারে।