ডিজেল, পেট্রল, অকটেনের দাম কমল: জুনের নতুন দর
সরকার জুন মাসের জন্য ডিজেল, পেট্রল ও অকটেনের দাম কমিয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম কমল ও কেরোসিনের দাম বাড়ল। আগামীকাল থেকে নতুন দর কার্যকর।
জুন মাসের জন্য ডিজেল, পেট্রল ও অকটেনের দাম কমিয়েছে সরকার। নতুন দর অনুযায়ী, প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ২ টাকা কমিয়ে ১০২ টাকা, পেট্রলের দাম ৩ টাকা কমিয়ে ১১৮ টাকা এবং অকটেনের দাম ৩ টাকা কমিয়ে ১২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভেজাল রোধে কেরোসিনের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়েছে। নতুন এই দাম আগামীকাল রবিবার থেকে কার্যকর হবে।
জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য
জুন মাসের জন্য নতুন জ্বালানি তেলের মূল্য (১লা জুন থেকে কার্যকর)
জ্বালানি | পূর্ব মূল্য (টাকা/লিটার) | নতুন মূল্য (টাকা/লিটার) | পরিবর্তন (টাকা) |
---|---|---|---|
ডিজেল | ১০৪ | ১০২ | ↓ ২ |
পেট্রল | ১২১ | ১১৮ | ↓ ৩ |
অকটেন | ১২৫ | ১২২ | ↓ ৩ |
কেরোসিন | ১০৪ | ১১৪ | ↑ ১০ |
(সূত্র: জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ)
শনিবার (৩১ মে) রাতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধির কারণ:
- উদ্দেশ্য: ভেজাল রোধ করা।
- কারণ: কেরোসিনের দাম ডিজেলের চেয়ে কম হওয়ায় এটিকে ডিজেলের সঙ্গে ভেজাল হিসেবে ব্যবহারের প্রবণতা দেখা যায়।
- সমাধান: দাম বাড়িয়ে ভেজাল প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
অন্যান্য জ্বালানি তেলের দাম কমালেও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, এই মূল্যবৃদ্ধির মূল উদ্দেশ্য হলো কেরোসিনকে ডিজেলের সঙ্গে ভেজাল হিসেবে ব্যবহারের প্রবণতা রোধ করা। যেহেতু কেরোসিনের দাম ডিজেলের চেয়ে কম থাকে, তাই এটি অনেক সময় ডিজেলের সাথে মিশিয়ে বিক্রি করা হয়, যা যানবাহনের ক্ষতি করে এবং সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভেজাল রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে সরকার বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চালু করেছে। এই পদ্ধতি অনুযায়ী, প্রতি মাসে নতুন দাম ঘোষণা করা হয়। ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি ব্যবহৃত হয়, তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাসদ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রলের দাম বেশি রাখা হয়।
দেশের বিভিন্ন প্রকার জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণের দায়িত্ব বিভিন্ন সংস্থার ওপর ন্যস্ত। উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েলের দাম বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নির্ধারণ করে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) নিয়মিত সমন্বয় করে। অন্যদিকে, ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
চলতি বছরের মে মাসের জন্য প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৪ টাকা, অকটেন ও পেট্রলের দাম ১ টাকা করে কমিয়ে যথাক্রমে ১২৫ টাকা এবং পেট্রল ১২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তার আগে মার্চ ও এপ্রিল মাসে জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়। আর ফেব্রুয়ারিতে পেট্রল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে বেড়েছিল ১ টাকা।