এই প্রথম কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের কৃষককুল তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়েছে।সব রকম শাক- সবজি কাঁচা পণ্য বা ফলচাষের বর্নাঢ্য আয়োজন কিংবা চাষাবাদ থাকলেও ছিলনা তরমুজ চাষের উৎপাদন মুখী কার্যকলাপ। এ বছর হোসেনপুরের বিভিন্ন গ্রামে কৃষকরা তরমুজ চাষের বীজতলা তৈরিতে ব্যাস্ত হয়ে পরেছেন।
সাহেবের চর গ্রামের কৃষক অলেক মিয়া(৬০) আমাদের জানান, সিনজেনটা কোম্পানির কর্মকর্তাদের পরামর্শক্রমে তারা বীজতলা তৈরি করতে শুরু করেছেন।
তিনি আরো বলেন, বিচি প্রথমে ৩ ঘন্টা রুদে শুকিয়ে আবার বীজগুলি ঠান্ডা করে ৬ ঘন্টা পানিতে ভিজেয়ে রেখে পরিষ্কার ভাবে ধুয়ে আবার ১৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তারপর পানি থেকে তুলে ভালো করে মুছে শুকনো করে মিনি পলিব্যাগে প্রতি প্যাকেটে ১০০ গ্রাম বিচি ডুকিয়ে পলির হাওয়া বের করে নরম কাপড়ে জড়িয়ে লেপ বা তোষকের তলায় কিংবা যেকোন উষ্ম স্থানে ৪৮ ঘন্টা রাখলে বীজগুলিতে অংকুর আসে তারপর ৫ মন মাটির সাথে সিনজেন্টা কোম্পানির এক প্যাকেট ক্রুজার ঔষধ মিশেয়ে এক পোয়া পলিব্যাগে মাটি ডুকিয়ে প্রতি পলিতে একটি বিচি রোপন করা হয়। পলি রাখার স্থানটিতে প্রায় ৩ ফুট উচ্ছতা সম্পন্ন চাউনি দিয়ে ঢাকা হয় ২০ দিন পর চারা গজালে জমিতে রোপন করতে হবে।
কৃষক খলিল মিয়া আমাদের বলেন, চারা রোপনের উপযোগী জমি তৈরি করতে প্রথমে এক চাষ করে, দুদিন পর আবার দুই চাষ করে মই দিয়ে সমান্তরাল অবস্থা তৈরি করতে হবে, আগাছা পরিষ্কার করে তিন হাত দুরে দুরে গর্ত করতে হবে নয় ইঞ্চি পরিমান।
তরমুজ চাষী মারুফ আহমেদ আফাজ, নাদিম রুবেল প্রমুখ কৃষক জানান, জীবনের প্রথম তরমুজ চাষ করতেছি প্রচুর খাটুনি তবু যদি ফলন ভালো পায় তবে আরো বহুগুনে বেড়ে যাবে হোসেনপুরে আশা করি তরমুজের আবাদ। কৃষিকর্মকর্তাদের পরামর্শক্রমে জৈব সার কিংবা অন্যান্য সার প্রয়োগ করে চারা রোপন করতে হবে। প্রতিটি তাকে তিনটি করে চারা ফেলে হালকা পানি দিতে হয়।
সিনজেন্টার কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন জানান, তরমুজ চাষ একটি লাভবান চাষ, সিনজেন্টা কোম্পানি থেকে ড্রাগন সুপার নামে মানসম্মত ফলনের বীজ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া নদীর তীরবর্তী এলাকার জমিতে ফসল ভালো হয়।
তিনি আরো বলেন, এ বছর ২০ (বিশ) একর জমিতে তাদের সুষ্ঠু তত্বাবধানে উপজেলায় ড্রাগন সুপার তরমুজ চাষের বীজতলা তৈরি হয়েছে।
জানা যায়, কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং নিয়মিত পরামর্শ দান করে যাচ্ছেন।