সরকারি হাসপাতালের ঔষধ, যা “পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সম্পদ, বিক্রয়ের জন্য নহে” বলে স্পষ্টভাবে উল্লেখিত, তা অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে ফার্মেসিতে। স্থানীয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে সরকারি বরাদ্দের ঔষধ বাজারে চলে যাচ্ছে এবং তা উচ্চমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।
সম্প্রতি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের ক্রোড়গাছা বাজারের একটি ফার্মেসিতে সরকারি হাসপাতালের মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির অভিযোগ ওঠে। এক রোগী সেই ঔষধ সেবন করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন, যার পর বিষয়টি জানাজানি হয় এবং এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লাজু মন্ডল, যিনি সোনাই ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, তিনি একইসঙ্গে ক্রোড়গাছা বাজারে একটি ফার্মেসি পরিচালনা করছেন। তবে তার ফার্মেসির কোনো বৈধ ড্রাগ লাইসেন্স নেই। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিদিনই তার ফার্মেসি থেকে সরকারি হাসপাতালের ঔষধ বিক্রি করা হয়।
গত ১৮ মার্চ বিকেলে পাতিলাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মমিন ইসলাম ওই ফার্মেসি থেকে কৃমির ঔষধ কিনে সেবন করেন। এরপর তার মাথা ঘোরা ও বমিভাব শুরু হলে অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
ভুক্তভোগী মমিন ইসলাম জানান, তিনি ৫টি ট্যাবলেট ২৫ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। লাজু মন্ডলকে সরকারি ঔষধ বিক্রির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, তা টাকা দিয়ে সংগ্রহ করেছেন।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে লাজু মন্ডল কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাসুদার রহমান আকন্দ বলেন, “সরকারি ঔষধ বিক্রি গুরুতর অপরাধ। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”