বুধবার (গতকাল) রাত ১০টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে মরদেহটি গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বুলবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারাবির নামাজের সময় রুপালি খাতুনকে তার নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রুপালির মৃত্যুর ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত ইকবাল পাশার নেতৃত্বে এসআই তাহসিনুর রহমান তাহসিন, এসআই হারুনুর রশিদসহ একদল পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে তারা মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, মৃতদেহের গলায় দুটি স্থানে দাগ রয়েছে, যা স্বাভাবিক আত্মহত্যার চিহ্নের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ফলে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা, সে বিষয়ে পুলিশ সন্দেহ প্রকাশ করেছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
স্থানীয়দের মধ্যে এ ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবি উঠেছে, যেন ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।