গোবিন্দগঞ্জে গরু ও মহিষ ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেফতার: পুলিশের সংবাদ সম্মেলন
পুলিশের সংবাদ সম্মেলন
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ গরু ও মহিষ ভর্তি ট্রাক ডাকাতির দুটি পৃথক ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেফতার করেছে। এ উপলক্ষে সোমবার (১০ মার্চ, ২০২৫) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানা কমপ্লেক্সের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বুলবুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি জানান, গত ৯ মার্চ, ২০২৫ রবিবার গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী থানা এলাকা থেকে দিঘলী ফুলবাড়ী গ্রামের আমানুল্লাহ শেখ ওরফে চিনু মিয়ার ছেলে সামিউল ইসলাম (৩৬) কে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ দিবাগত রাত ১টার দিকে রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের বৈঠাখালী এলাকায় গরু ভর্তি একটি ট্রাক ডাকাতির ঘটনা ঘটে, যার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় মামলা নং ৩৯ দায়ের করা হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিনাজপুরের হাকিমপুর এলাকা থেকে গরু বহনকারী ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়।
পরের দিন ২৬ জানুয়ারি রাতে একই এলাকায় মহিষ ভর্তি আরেকটি ট্রাক ডাকাতির ঘটনা ঘটে, যার পর থানায় মামলা নং ৪০ দায়ের করা হয়। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বগুড়ার মাটিডালি বাইপাস থেকে মহিষ বহনকারী ট্রাকটিও উদ্ধার করা হয়।
ডাকাতি তদন্তে পুলিশের চৌকস দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ডাকাত শিপনকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রেজাউল করিম, আমিন মিয়া ও শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মূল পরিকল্পনাকারী সামিউল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে যে, তারা ডাকাতি করা গরু ও মহিষ দেশের বিভিন্ন হাটে বিক্রি করেছে।
ডাকাতি মামলায় গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন:
- গরু ডাকাতি মামলায়: শিপন (২৪), রেজাউল করিম (৪৫), আমিন মিয়া (৪৬), শফিকুল ইসলাম (৫০), আশরাফুল ইসলাম (৪৭)।
- মহিষ ডাকাতি মামলায়: আশরাফুল ইসলাম (৪৭), সামিউল ইসলাম (৩৬), রেজাউল করিম (৪৫), আমিন মিয়া (৪৬), শফিকুল ইসলাম (৫০)।
এছাড়া মহাসড়কে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন সময় গ্রেফতার করা হয়েছে সানোয়ার হোসেন (৪৮), আ. হালিম (২৬), সাজু মিয়া (৩৭), আ. আলীম (২৮), রাসেল মিয়া (১৯), জহুরুল ইসলাম (৪০), আবু রায়হানসহ আরও কয়েকজনকে।
সংবাদ সম্মেলনে ওসি বুলবুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে এবং বাকি অপরাধীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।