জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আবারও বলেছেন, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নির্বাচন ‘সম্ভব নয়’। বুধবার ( ৫ মার্চ) বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। আজ শুক্রবার (৭ মার্চ) তা প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম বলেছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এখনো পুরোপুরি জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি এবং এ বছর জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন হবে। এর মধ্যে আজ বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে এএফপির প্রতিবেদনে নাহিদ ইসলামের ওই বক্তব্য প্রকাশিত হলো।
এএফপিকে নাহিদ ইসলাম বলেন, হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে এখনো সমস্যার মুখে পড়ছে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে প্রায়ই নির্বাচন বিলম্বের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়। তবে এটা সত্যি নয়।’
বাংলাদেশে সুদূরপ্রসারী সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহে ঘাটতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেন নাহিদ ইসলাম তিনি বলেন, ‘এমনকি তরুণেরা যে কারণে জীবন উৎসর্গ করেছেন, সেসব সংস্কারেও আগ্রহী নয় তারা।’
নাহিদ বলেন, ‘কেউই জানতেন না, একটি অভ্যুত্থান হবে। তবে এটি হয়েছে। আমি আন্তরিকতার সঙ্গে আশা করি এবং বিশ্বাস করি যে আমরা এবার বিজয়ী হতে চলেছি। তবে এই নির্বাচনই পৃথিবীর শেষ নয়, আমাদের লক্ষ্য হলো এই শক্তিটাকে আরও ৫০ বা ১০০ বা বেশি বছর টিকিয়ে রাখা।’
তিনি বলেন, পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে বিএনপির সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে এনসিপির। বিএনপির যুক্তি—জনগণের ম্যান্ডেটের একটি সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা সবার অন্তর্ভুক্তিতে বিশ্বাস করি। তবে ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক রীতিনীতির কারণে সুনির্দিষ্ট কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’ এনসিপিতে এখনো প্রশংসা করার মতো বৈচিত্র্য রয়েছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা (দলে) নারীদের সামনে এনেছি এবং সব বর্ণ ও ধর্মের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করেছি। সব নাগরিক যেন তাঁদের অধিকার ভোগ করতে পারেন, আমরা সে চেষ্টা করব।’