আওয়ামী লীগকে শুধু নিষিদ্ধ নয়, রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এটি তার ব্যক্তিগত অবস্থান বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন আসিফ মাহমুদ। এর আগে আজ রাজধানীর আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে তারুণের উৎসবে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচন করা এখন অবান্তর। শুধু নিষিদ্ধ নয়, আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওই পোস্টে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে শুধু নিষিদ্ধ নয়, রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। এটাই আমার ব্যক্তিগত অবস্থান। এখন সেটা করার প্রসেস কি হবে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে এমন নজির আছে। আমার চোখের সামনে ওদের গুলিতে ভাইদের শহীদ হতে দেখেছি। গুমের শিকার হয়েছি, মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখেছি। আওয়ামিলীগের রাজনৈতীক পূনর্বাসনের চিন্তাও আসা অসম্ভব।
বিস্তারিত না বলায় আমিও ঠিকভাবে বুঝাতে পারিনি, কিছু কিছু মিডিয়াতেও বক্তব্য ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এখানে আওয়ামিলীগ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেবার কথা বলা হয়নি। বিচারের পূর্বে এই প্রশ্নই অবান্তর।’
তিনি আরো বলেন, ‘তবে এই প্রশ্নের একটা স্থায়ী সমাধানে পৌঁছাতে হবে, তা যদি না হয় তবে আজ বা কাল আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে। আওয়ামী লীগ, জামাতকে নিষিদ্ধ করেছিল, তাতে কি জামাতের রাজনীতি করা আটকাতে পেরেছে? এটা যদি ইন্টিগ্রেটেড প্রসেসের মধ্য দিয়ে না হয় তাহলে সম্ভব হবে কিনা প্রশ্ন থেকে যায়।
১৬ বছরে সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত না হয়েও আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীর সংখ্যা অনেক। অনেকেই বলছেন অন্যায় না করলে ক্ষমা চাইবে কেন? অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে, আওয়ামী লীগের সাথে যোকোনো ফরম্যাটে জড়িত থাকার কারণে, ফ্যাসিস্ট অ্যানাবলার কিংবা সুবিধাভোগী হিসেবেই ক্ষমা চাইতে হবে। এবং এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে স্বচ্ছ, উন্মুক্তভাবে এবং ধাপে ধাপে।’
লিগ্যালি এবং সোশ্যালি (ট্রুথ কমিশন কিংবা বিশ্বের যেসব স্থানে এমন নজির আছে তাদের প্রক্রিয়া অনুসরন করে) আওয়ামী লীগকে আদর্শিক ও রাজনৈতিক ভাবে বাংলাদেশ থেকে নির্মুল করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।