বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন মামলায় গ্রেপ্তার বাগেরহাটের তৎকালীন পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবিবার (ফেব্রুয়ারি) বাগেরহাট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মতিউর রহমান তাকে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্যে করে গুলি, বোমা বিস্ফোরণ এবং স্থাপনা ধ্বংসের অভিযোগে বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, ও তার ছেলে বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, হাসনাতসহ আওয়ামী লীগের ৩৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। ওই মামলায় আরো অজ্ঞাত পরিচয়ের ৬০ জনকে আসামি করা হয়।
বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি করা হয়। বাগেরহাট শহরের খারদ্দার এলাকার ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম মিঠু বাদী হয়ে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ফকিরহাট থানায় এই মামলা করেন। ওই দিনই মামলার এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি হাসনাতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ২৭ ব্যাচের কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খান ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফকিরহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মেহেদী হাসান মিশন জানান, এই মামলায় গ্রেপ্তার হাসনাতকে রবিবার ঢাকা থেকে এনে বাগেরহাট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের বিচারক তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে বলে তিনি জানান।
বাগেরহাট জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহবুব মোরশেদ লালন জানান, হাসনাতকে আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদী তার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, আসামিরা ছাত্র-জনতার আন্দোলন নস্যাৎ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাকে ফাঁসাতে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করতে থাকেন। ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্যে করে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ এবং হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিক গুলি করেন তারা।
হাসনাত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে বড় পদে কর্মরত থাকায় এবং বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখাসহ বিভিন্ন অপকর্মের সহযোগিতা করার লক্ষ্যে ‘একটি ব্যালট, একটি বুলেট’সহ বিভিন্ন সময় উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।